যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তার রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনও এখন আলোচনায়। এ পরিস্থিতিতে এবার হ্যারিসের স্বামীর অতীত নিয়েও কথা হচ্ছে।

ডগ এমহফের দ্বিতীয় স্ত্রী হ্যারিস। প্রথমবার এমহফ বিয়ে করেছিলেন আরেক নারীকে। তখন স্ত্রী থাকার পরও বাড়ির এক আয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই নারী এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

ডেইলি মেইলি বলছে, প্রায় ১৫ বছর ঘটেছিল ওই ঘটনা। এমহফের সঙ্গে সম্পর্কে থাকা নারী একটি প্রাইভেট স্কুলে পড়াতেন। সেই স্কুলে এমহফের দুই সন্তানও পড়তো। এমহফ এই ঘটনা শনিবার স্বীকার করেছেন।

এমহফের এক পারিবারিক বন্ধুও পারিবারিক আয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছন, অন্তঃসত্ত্বা হলেও সন্তান জন্ম দেননি ওই নারী।

এমহফ নিজেও সিএনএনকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। ওই নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তথ্যও নিশ্চিত করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম বিয়ের সময়, কার্স্টিন এবং আমি আমার কাজের কারণে কিছু কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম।’

এমহফের প্রথম স্ত্রী কার্স্টিন শনিবার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ডগ এবং আমি অনেক বছর আগে বিভিন্ন কারণে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তিনি আমাদের বাচ্চাদের জন্য একজন মহান বাবা, আমার একজন দুর্দান্ত বন্ধু হয়ে আছেন।’

প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় নারী হিসেবে মার্কিন রাজনৈতিক দলের জন্য বড় চমক ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস। যদি আসন্ন নভেম্বরে রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারেন তবে তিনিই হবেন আমেরিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।