ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা গণভবন এলাকা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি চলছে দেশজুড়ে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারী এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গণভবনে হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন ও এর আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

আজ রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের মোড় থেকে গণভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তা ও বিপরীত পাশের ফেরার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আটকে রাখা সড়কের মধ্যে সাধারণ মানুষের প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। ব্যারিকেডের ভেতরে ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচুর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে থেকে গণভবনমুখী সড়কের ঢুকে পুরান বাণিজ্য মেলার মাঠ পেরিয়ে দেখা গেল, সেনাবাহিনীর দুটি সাঁজোয়াযানসহ সেনা ও এপিবিএনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ওই রাস্তাও ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

এরপর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের প্রবেশমুখে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনের রাস্তার ফুটপাতে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে দেখা যায়। এসময় সেখানে এপিবিএন ও বিজিবির সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

মিরপুর সড়ক ধরে গণভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ দেখা যায়। বিকল্প হিসেবে কলেজ গেটের দিয়ে প্রবেশ করে রেসিডিন্সিয়াল মডেল কলেজের পেছন দিয়ে মোহাম্মদপুর হয়ে আসাদগেটের মূল সড়কে উঠে দেখা যায়, সংসদ ভবনের পেছনের রাস্তার মুখে গণভবনের মোড়ে দুই পাশের সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানেও সাঁজোয়াযানসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। রয়েছে বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরাও।

আসাদগেটের আড়ং শপিংমলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ, বিজিবি ও এপিবিএনের সদস্যরা। আড়ং-এর পেছনের দিকে অনেক লোকজনকে লাঠিসোঁটা হাতে দেখা গেছে। সেখান থেকে বেরিয়ে মানিক মিয়া এভিনিউর সড়কে উঠে দেখা যায়, সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে সেনা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে, গণভবনের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই লাঠিসোঁটা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণভবনের চারপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেখা যায় আসাদগেটের আড়ং মোড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। নেতাকর্মীদের একটি অংশ আড়ং থেকে ২৭ নম্বর মোড় পর্যন্ত স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া খামারবাড়ি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কলেজ গেট এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

আ’লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, এখন এ আন্দোলনে কোনো শিক্ষার্থী নাই। এ আন্দোলনে এখন ভর করেছে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা। তারা সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তাদের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দেশবাসীকে নিয়ে প্রস্তুত।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা গণভবন এলাকা

আপডেট সময় : ০৩:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি চলছে দেশজুড়ে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারী এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গণভবনে হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন ও এর আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

আজ রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের মোড় থেকে গণভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তা ও বিপরীত পাশের ফেরার রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আটকে রাখা সড়কের মধ্যে সাধারণ মানুষের প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। ব্যারিকেডের ভেতরে ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচুর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে থেকে গণভবনমুখী সড়কের ঢুকে পুরান বাণিজ্য মেলার মাঠ পেরিয়ে দেখা গেল, সেনাবাহিনীর দুটি সাঁজোয়াযানসহ সেনা ও এপিবিএনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ওই রাস্তাও ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

এরপর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের প্রবেশমুখে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনের রাস্তার ফুটপাতে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে দেখা যায়। এসময় সেখানে এপিবিএন ও বিজিবির সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

মিরপুর সড়ক ধরে গণভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ দেখা যায়। বিকল্প হিসেবে কলেজ গেটের দিয়ে প্রবেশ করে রেসিডিন্সিয়াল মডেল কলেজের পেছন দিয়ে মোহাম্মদপুর হয়ে আসাদগেটের মূল সড়কে উঠে দেখা যায়, সংসদ ভবনের পেছনের রাস্তার মুখে গণভবনের মোড়ে দুই পাশের সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানেও সাঁজোয়াযানসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। রয়েছে বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরাও।

আসাদগেটের আড়ং শপিংমলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ, বিজিবি ও এপিবিএনের সদস্যরা। আড়ং-এর পেছনের দিকে অনেক লোকজনকে লাঠিসোঁটা হাতে দেখা গেছে। সেখান থেকে বেরিয়ে মানিক মিয়া এভিনিউর সড়কে উঠে দেখা যায়, সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে সেনা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে, গণভবনের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই লাঠিসোঁটা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণভবনের চারপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেখা যায় আসাদগেটের আড়ং মোড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। নেতাকর্মীদের একটি অংশ আড়ং থেকে ২৭ নম্বর মোড় পর্যন্ত স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া খামারবাড়ি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কলেজ গেট এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

আ’লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, এখন এ আন্দোলনে কোনো শিক্ষার্থী নাই। এ আন্দোলনে এখন ভর করেছে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা। তারা সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তাদের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দেশবাসীকে নিয়ে প্রস্তুত।