০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খবর

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১১:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪
  • ৪৩ দেখেছেন

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘাত–সংঘর্ষ ও নিহতের খবর। গতকাল রোববার দিনভর ঘটে যাওয়া ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, অগ্নি–সংযোগ, গোলাগুলি ও হাতাহতের সংবাদ প্রকাশ করেছে বিবিসি, সিএনএন রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, আল জাজিরা, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি, এএফপি ও এপির মতো সংবাদমাধ্যমগুলো।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ‘বাংলাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহত ৯০’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিবসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার দিনভর পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনটি এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।

এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরের শিরোনাম—‘বিক্ষোভে বহু হতাহতের পর বাংলাদেশে আবার কারফিউ জারি’। ওই খবরে গতকাল রোববার বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ৭০ জন নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে কারফিউ জারি ও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টিও স্থান পেয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন ‘কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের মধ্যে বাংলাদেশে বিক্ষোভে নিহত ৯১’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। ওই খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামা হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। দিনভর সংঘাত–সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ৯১ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সংঘর্ষ–সংঘাতে সারা দেশে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছে। নিহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে বগুড়া, পাবনা, রংপুর, মাগুরা, কুমিল্লা, বরিশাল ও ফেনীতে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলমান ছাত্র আন্দোলন দমনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রীরা।

আরেক বার্তা সংস্থা এএফপি ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চান বিক্ষোভকারীরা, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলেছে, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকালে সবচেয়ে বড় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে। ওই আন্দোলন থেকে এখন তাঁর পদত্যাগের দাবি জানানো হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ‘বাংলাদেশে সংঘাতে ৯১ জন নিহত, ভারতীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে। ওই খবরে বলা হয়, রোববার বিক্ষোভকারী ও শাসক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে সংঘাত–সংঘর্ষে ৭২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক ডজন। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটে অবস্থিত ভারতের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশন বাংলাদেশে অবস্থানকারী ভারতীয় নাগরিকদের হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ও সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে—‘সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আবার শুরু হওয়া বিক্ষোভে ১০০ জন নিহত’। এ ছাড়া সংবাদমাধ্যম স্ক্রল ডটইনের প্রতিবেদনেও ৭২ জন নিহতের কথা বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খবর

আপডেট : ১১:৩৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘাত–সংঘর্ষ ও নিহতের খবর। গতকাল রোববার দিনভর ঘটে যাওয়া ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, অগ্নি–সংযোগ, গোলাগুলি ও হাতাহতের সংবাদ প্রকাশ করেছে বিবিসি, সিএনএন রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, আল জাজিরা, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি, এএফপি ও এপির মতো সংবাদমাধ্যমগুলো।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ‘বাংলাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহত ৯০’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিবসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার দিনভর পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনটি এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।

এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরের শিরোনাম—‘বিক্ষোভে বহু হতাহতের পর বাংলাদেশে আবার কারফিউ জারি’। ওই খবরে গতকাল রোববার বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ৭০ জন নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে কারফিউ জারি ও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টিও স্থান পেয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন ‘কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের মধ্যে বাংলাদেশে বিক্ষোভে নিহত ৯১’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। ওই খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামা হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। দিনভর সংঘাত–সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ৯১ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সংঘর্ষ–সংঘাতে সারা দেশে অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছে। নিহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে বগুড়া, পাবনা, রংপুর, মাগুরা, কুমিল্লা, বরিশাল ও ফেনীতে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলমান ছাত্র আন্দোলন দমনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রীরা।

আরেক বার্তা সংস্থা এএফপি ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চান বিক্ষোভকারীরা, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলেছে, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকালে সবচেয়ে বড় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে। ওই আন্দোলন থেকে এখন তাঁর পদত্যাগের দাবি জানানো হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ‘বাংলাদেশে সংঘাতে ৯১ জন নিহত, ভারতীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে। ওই খবরে বলা হয়, রোববার বিক্ষোভকারী ও শাসক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে সংঘাত–সংঘর্ষে ৭২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক ডজন। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটে অবস্থিত ভারতের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশন বাংলাদেশে অবস্থানকারী ভারতীয় নাগরিকদের হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ও সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে—‘সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আবার শুরু হওয়া বিক্ষোভে ১০০ জন নিহত’। এ ছাড়া সংবাদমাধ্যম স্ক্রল ডটইনের প্রতিবেদনেও ৭২ জন নিহতের কথা বলা হয়েছে।