ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কেউ প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসা পরায়ন হবেন না : তারেক জিয়া

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের আন্দোলনের মুখে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই দেশবাসীর উদ্দেশে কথা বলেছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এদিন লন্ডন থেকে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে ক্যাপশনে বিএনপির এ নেতা লিখেন, ‘বিজয়ের এই আনন্দঘন সময় শান্তভাবে উদযাপন করুন। অনুগ্রহ পূর্বক কেউ প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসা পরায়ন হবেন না। কেউ নিজের হাতে দয়া করে আইন তুলে নিবেন না।’

এদিকে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ব্যাপারে প্রথমেই দেশের ছাত্র জনতাকে অভিনন্দন জানান তারেক জিয়া। তিনি বলেন, হাজারও শহিদের প্রাণের বিনিময়ে জনতার ঐতিহাসিক এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। রাহু মুক্ত হয়েছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। জনতার বিপ্লবের প্রথম ধাপ চূড়ান্তভাবে সফল হয়েছে। লাখো শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ কখনো পরাজয় মানতে পারে না।

এ সময় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তারেক জিয়া বলেন, আপনাদের সন্তানদের শহিদি মৃত্যু, স্বজনদের ত্যাগ প্রতীক্ষায় এই ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে প্রিয় বাংলাদেশ আর একটি বিজয় দেখেছে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমে যেসব শিক্ষার্থী ও মানুষ নির্যাতন, মামলা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন, কারাগারে আছেন, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার ও কারামুক্তির দাবিও জানান তারেক জিয়া।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন আবার স্বাভাবিকভাবে হলে, হোস্টেলে, ক্লাসে ফিরতে পারেন এবং পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন, সেই পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করার আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে জিম্মি করে সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, লুণ্ঠিত ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে। এর মধ্যে দিয়ে জনগণের বিপ্লবের প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কেউ প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসা পরায়ন হবেন না : তারেক জিয়া

আপডেট সময় : ১১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪

সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের আন্দোলনের মুখে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই দেশবাসীর উদ্দেশে কথা বলেছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এদিন লন্ডন থেকে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে ক্যাপশনে বিএনপির এ নেতা লিখেন, ‘বিজয়ের এই আনন্দঘন সময় শান্তভাবে উদযাপন করুন। অনুগ্রহ পূর্বক কেউ প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসা পরায়ন হবেন না। কেউ নিজের হাতে দয়া করে আইন তুলে নিবেন না।’

এদিকে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ব্যাপারে প্রথমেই দেশের ছাত্র জনতাকে অভিনন্দন জানান তারেক জিয়া। তিনি বলেন, হাজারও শহিদের প্রাণের বিনিময়ে জনতার ঐতিহাসিক এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। রাহু মুক্ত হয়েছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। জনতার বিপ্লবের প্রথম ধাপ চূড়ান্তভাবে সফল হয়েছে। লাখো শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ কখনো পরাজয় মানতে পারে না।

এ সময় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তারেক জিয়া বলেন, আপনাদের সন্তানদের শহিদি মৃত্যু, স্বজনদের ত্যাগ প্রতীক্ষায় এই ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে প্রিয় বাংলাদেশ আর একটি বিজয় দেখেছে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমে যেসব শিক্ষার্থী ও মানুষ নির্যাতন, মামলা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন, কারাগারে আছেন, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার ও কারামুক্তির দাবিও জানান তারেক জিয়া।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন আবার স্বাভাবিকভাবে হলে, হোস্টেলে, ক্লাসে ফিরতে পারেন এবং পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন, সেই পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করার আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে জিম্মি করে সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, লুণ্ঠিত ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে। এর মধ্যে দিয়ে জনগণের বিপ্লবের প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।