ক্ষমতার পালাবদলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে গেছেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে বিভিন্ন অঙ্গনের নেতৃত্বে পরিবর্তনের জোরালো দাবি উঠছে। সে ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নেতৃত্বেও পরিবর্তনের দাবি জানালেন ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস। একইসঙ্গে তিনি বিসিবির বিরুদ্ধে বিধ্বংসী অভিযোগও তুলেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের অফিসিয়াল পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান কায়েস। অনুসারীদের সালাম দিয়ে তিনি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে লিখেছেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে আশা করি সবাই ভালো আছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ও ক্ষমতার কালো থাবা থেকে মুক্ত করতে হবে।’
বিসিবি অনেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ কায়েসের, ‘সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম বোর্ড কর্মকর্তারা মুখোশ পাল্টে এখন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। এদের কারণে ক্রিকেটের যে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সবাই জানেন। কত প্লেয়ারের ক্যারিয়ার যে ধ্বংস করছে তারা। শুধু তাদের পছন্দের তালিকায় না থাকার কারণে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ন্যূনতম সম্মান দেখানো হয় না।’
তরুণদের হাত ধরে বিসিবি এগিয়ে যাবে বলেও বিশ্বাস এই ওপেনারের, ‘বোর্ডের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা যথেষ্ট করেছেন, দেশের ক্রিকেটকে দেওয়ার আপনাদের আর কিছু নেই। তারুণ্যের হাতে ছেড়ে দিন ক্রিকেটের ভবিষ্যত। তারাই এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাদের হাত ধরেই আসবে বড় সাফল্য, যেখানে মাথা উঁচু করে থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেট, ইনশা-আল্লাহ।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছিলেন। জানুয়ারিতে মন্ত্রীত্ব পাওয়ার মাত্র ছয় মাসের মাথায় কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন তিনিসহ আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা। ইতোমধ্যে পাপনের ভৈরবের বাড়িতে ভাংচুরও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও তার বর্তমান অবস্থানের কথা জানা যায়নি। একইভাবে বিসিবি পরিচালকদের বড় একটি অংশ এই ঘটনার পর থেকে গোপনে আছেন।
প্রসঙ্গত, ইমরুল কায়েস দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছেন। যদিও তিনি নিয়মিত খেলছেন বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। জাতীয় দলে তার বাদ পড়া নিয়ে গড়-স্ট্রাইকরেট কম থাকার যুক্তি দেখানো হলেও, তার বাদ পড়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এর আগে লাল-সবুজের জার্সিতে তিন ফরম্যাটে ১৩১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা।