শেখ হাসিনার আশ্রয়ের আবেদনে যুক্তরাজ্য বলছে বিধান নেই
- আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
চাকরির কোটা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে ৪৫ মিনিটের আল্টিমেটাম দেওয়ার পর তিনি একটি সামরিক বিমানে করে ঢাকা থেকে পালিয়ে প্রথমে উত্তর প্রদেশের একটি আইএএফ ঘাঁটিতে যান।
সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে ভারতে পৌঁছানোর পর শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার বিমানে জ্বালানি ভরার পর তিনি লন্ডনে যাবেন। তারপর থেকেই অবশ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সময়সূচি বা তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
যদিও সূত্রের খবর, তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘সুরক্ষামূলক হেফাজতে’ রয়েছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, যিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক, যিনি সে দেশে আশ্রয় দাবি করতে কার্যকর হতে পারেন। তার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ লেবার পার্টির একজন পার্লামেন্টারিয়ান।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার সকালে এনডিটিভিকে জানিয়েছে, ব্রিটিশ অভিবাসন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য সে দেশে যেতে পারেন না।
গত মাসে লেবার পার্টির ভূমিধস বিজয়ের পর স্যার কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাজ্য সরকারও বলেছে, আশ্রয়প্রার্থী ব্যক্তিদের অবশ্যই ‘প্রথম নিরাপদ দেশে’ তা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যাদের প্রয়োজন তাদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের গর্বিত রেকর্ড রয়েছে। তবে আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য কাউকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কোনো বিধান নেই।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এনডিটিভিকে বলেন, ‘যাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন তাদের প্রথম নিরাপদ দেশে আশ্রয় চাওয়া উচিত- এটাই নিরাপত্তার দ্রুততম পথ। তবে আনুষ্ঠানিক আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে।
হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে দিল্লিতে অবস্থান করছেন। তবে তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করায় এর দরজা খুলতে পারে না।
ভারত সরকারের অবস্থান
আজ সকালে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সান অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ভারত ‘অন্তর্বর্তীকালীন অবস্থানের’ অনুমতি দিয়েছে, যে সময়ে শেখ হাসিনা সার্বিক লজিস্টিক সহায়তা পাবেন। এটি কেবল অস্থায়ী এবং ব্রিটেনে স্থানান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশের সব প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।