ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তসলিমা নাসরিন যা বললেন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাম্প্রদায়িকতার কট্টর সমালোচক নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নে একটি পরিহাস খুঁজে পেয়েছেন।
নাসরিন বলেন, শেখ হাসিনা তাকে ‘ইসলামপন্থীদের খুশি করতে’ বাংলাদেশ থেকে বের করে দিয়েছিলেন এবং ‘একই ইসলামপন্থীরা’ ছাত্র আন্দোলনের অংশ ছিল যা তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালে মৃত্যুশয্যায় থাকা মাকে দেখতে বাংলাদেশে প্রবেশের পর শেখ হাসিনা আমাকে দেশ থেকে বের করে দেন এবং আর কখনো এ দেশে ঢুকতে দেননি। সেই ইসলামপন্থীরাই ছাত্র আন্দোলনে ছিল, যারা আজ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।

লেখক তাকে “ইসলামপন্থীদের বাড়তে দেওয়ার” জন্য এবং দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বাড়তে দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেছিলেন। নিজের দেশে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করেছেন।

তিনি বলেন, হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হয়েছে। তার এই অবস্থার জন্য তিনিই দায়ী। তিনি ইসলামপন্থীদের গড়ে তুলেছেন। তিনি তার জনগণকে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এখন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো হতে হবে না। সেনাবাহিনী শাসন করতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা।

‘লজ্জা’ বইটি নিয়ে মৌলবাদী সংগঠনগুলোর হত্যার হুমকির মুখে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাড়তে হয় তসরিন নাসরিনকে। ১৯৯৩ সালে বইটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হলেও অন্যত্র বেস্ট সেলার হয়।

শেখ হাসিনার কারাবন্দি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়া তখন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর থেকে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন লেখক।

বাংলাদেশে রোববার সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ হয়েছে, যেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এর জেরে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। হাসিনা সরাসরি সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছেন।

শিক্ষার্থীদের মারাত্মক বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার (৫ আসষ্ট) একটি সামরিক বিমানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান এবং যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রার্থনা করতে লন্ডনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির সেনাপ্রধান সংবাদ সম্মেলন ডেকে দেশ পরিচালনার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ভারতের হিন্ডন বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। সূত্রের খবর, তিনি লন্ডনে চলে যেতে পারেন, সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন। তারা জানিয়েছে, লন্ডনগামী বিমানের জন্য তার বিমানে জ্বালানি ভরার কাজ চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তসলিমা নাসরিন যা বললেন

আপডেট সময় : ১২:২৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

সাম্প্রদায়িকতার কট্টর সমালোচক নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নে একটি পরিহাস খুঁজে পেয়েছেন।
নাসরিন বলেন, শেখ হাসিনা তাকে ‘ইসলামপন্থীদের খুশি করতে’ বাংলাদেশ থেকে বের করে দিয়েছিলেন এবং ‘একই ইসলামপন্থীরা’ ছাত্র আন্দোলনের অংশ ছিল যা তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালে মৃত্যুশয্যায় থাকা মাকে দেখতে বাংলাদেশে প্রবেশের পর শেখ হাসিনা আমাকে দেশ থেকে বের করে দেন এবং আর কখনো এ দেশে ঢুকতে দেননি। সেই ইসলামপন্থীরাই ছাত্র আন্দোলনে ছিল, যারা আজ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।

লেখক তাকে “ইসলামপন্থীদের বাড়তে দেওয়ার” জন্য এবং দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বাড়তে দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেছিলেন। নিজের দেশে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করেছেন।

তিনি বলেন, হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে হয়েছে। তার এই অবস্থার জন্য তিনিই দায়ী। তিনি ইসলামপন্থীদের গড়ে তুলেছেন। তিনি তার জনগণকে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এখন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো হতে হবে না। সেনাবাহিনী শাসন করতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা।

‘লজ্জা’ বইটি নিয়ে মৌলবাদী সংগঠনগুলোর হত্যার হুমকির মুখে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাড়তে হয় তসরিন নাসরিনকে। ১৯৯৩ সালে বইটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হলেও অন্যত্র বেস্ট সেলার হয়।

শেখ হাসিনার কারাবন্দি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়া তখন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর থেকে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন লেখক।

বাংলাদেশে রোববার সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ হয়েছে, যেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এর জেরে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। হাসিনা সরাসরি সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছেন।

শিক্ষার্থীদের মারাত্মক বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার (৫ আসষ্ট) একটি সামরিক বিমানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান এবং যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রার্থনা করতে লন্ডনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির সেনাপ্রধান সংবাদ সম্মেলন ডেকে দেশ পরিচালনার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ভারতের হিন্ডন বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। সূত্রের খবর, তিনি লন্ডনে চলে যেতে পারেন, সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন। তারা জানিয়েছে, লন্ডনগামী বিমানের জন্য তার বিমানে জ্বালানি ভরার কাজ চলছে।