দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে দেশে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তার মায়ের দলের নেতা ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের চাকরির কোটা দেওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের সহিংস আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতার ২০ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের সব এমপি-মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমি ভারত সরকারের সহায়তা চাইব," এনডিটিভিকে বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এটা যদি রাজনৈতিক আন্দোলন হয়, তাহলে তারা কেন মানুষ হত্যা করছে?
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে বহু হিন্দু মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেছেন ডানপন্থী সংগঠন ও কমিউনিটি নেতারা।
তিনি বলেন, গতবার জামায়াতে ইসলামী যখন ক্ষমতায় ছিল তখন নিয়মিত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে। সেগুলো আবার শুরু হয়েছে। অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, মানুষ হত্যা। মন্দির ও সংসদ ভাঙচুর। যে ছবি আপনারা দেখছেন তা গণতান্ত্রিক বিক্ষোভকারীদের নয়, এগুলো সহিংস জনতার ছবি," বলেন জয়।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কেমন জানতে চাইলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ এখন সিরিয়ার মতো হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে চলছে। আমি পাকিস্তানের কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মনে হচ্ছে বাংলাদেশ সিরিয়ার মতো হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'তারা (বাংলাদেশের জনগণ) তাদের ভবিষ্যৎ তৈরি করে ফেলেছে। এটা নিয়েই তাদের বাঁচতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাবে, জঙ্গিবাদ অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ মুহাম্মদ ইউনূসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্র, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনাকে সোমবার ৪৫ মিনিটের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। পদত্যাগের পর সামরিক বিমানে ভারতের উদ্দেশে রাজধানী ঢাকা ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গতকাল বলেছেন, সরকার শেখ হাসিনাকে 'সুস্থ' হয়ে ওঠার জন্য সময় দিচ্ছে এবং তার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তাদের জানাবে। খুব অল্প সময়ের নোটিশে তিনি ভারতে আসার অনুমোদন চেয়েছেন। একই সঙ্গে আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফ্লাইট ক্লিয়ারেন্সের জন্য একটি অনুরোধ পেয়েছি।