ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ ব্যাংকে বিক্ষোভের মুখে ডেপুটি গভর্নর-১ কাজী ছাইদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। আর এস আলম গ্রুপের ঘনিষ্ঠ নীতি উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করে ব্যাংক থেকে পালিয়েছেন। বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসও অফিস ত্যাগ করেছেন। এছাড়া অন্য দুই ডেপুটি গভর্নর অবস্থা বুঝে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চলে গেছেন।

তথ্য বলছে, কর্মকর্তাদের দাবি অবিলম্বে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সব ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগ ও বিচার করতে হবে। তারা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া যেসব নির্বাহী পরিচালক অনিয়মে সহায়তা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

জানা গেছে, কর্মকর্তাদের তো মুখে ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান, নীতি উপদেষ্টা আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাসের পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া বের করে দেওয়া হয়েছে ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান ও বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস। আগে টের পেয়ে ব্যাংকে আসেননি আরেক ডেপুটি গভর্নর খোরশেদ আলম। তবে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ডেপুটি গভর্নর-২ নূরুন নাহারকে আপাতত দায়িত্বে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকালের মতো আজ বুধবারও গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার অফিসে আসেননি। গতকাল রাতে তার দেশ ছেড়ে পালানোর গুঞ্জন শোনা গেলেও এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে গত সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালানোর পর থেকেই তিনি গভর্নর ভবন থেকে সটকে পড়েন। কাজী ছাইদুর রহমান ছাড়া অন্য তিন ডেপুটি গভর্নর হলেন- নূরুন নাহার, খুরশীদ আলম ও ড. মো. হাবিবুর রহমান।

এস আলম গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কোটি টাকার বেনামি ঋণসহ বিভিন্ন অনিয়মে সহায়তার দায়ে অভিযুক্তদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক

আপডেট সময় : ০২:০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকে বিক্ষোভের মুখে ডেপুটি গভর্নর-১ কাজী ছাইদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। আর এস আলম গ্রুপের ঘনিষ্ঠ নীতি উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করে ব্যাংক থেকে পালিয়েছেন। বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসও অফিস ত্যাগ করেছেন। এছাড়া অন্য দুই ডেপুটি গভর্নর অবস্থা বুঝে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চলে গেছেন।

তথ্য বলছে, কর্মকর্তাদের দাবি অবিলম্বে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সব ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগ ও বিচার করতে হবে। তারা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া যেসব নির্বাহী পরিচালক অনিয়মে সহায়তা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

জানা গেছে, কর্মকর্তাদের তো মুখে ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান, নীতি উপদেষ্টা আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাসের পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া বের করে দেওয়া হয়েছে ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান ও বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস। আগে টের পেয়ে ব্যাংকে আসেননি আরেক ডেপুটি গভর্নর খোরশেদ আলম। তবে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ডেপুটি গভর্নর-২ নূরুন নাহারকে আপাতত দায়িত্বে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকালের মতো আজ বুধবারও গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার অফিসে আসেননি। গতকাল রাতে তার দেশ ছেড়ে পালানোর গুঞ্জন শোনা গেলেও এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে গত সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালানোর পর থেকেই তিনি গভর্নর ভবন থেকে সটকে পড়েন। কাজী ছাইদুর রহমান ছাড়া অন্য তিন ডেপুটি গভর্নর হলেন- নূরুন নাহার, খুরশীদ আলম ও ড. মো. হাবিবুর রহমান।

এস আলম গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কোটি টাকার বেনামি ঋণসহ বিভিন্ন অনিয়মে সহায়তার দায়ে অভিযুক্তদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।