০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিডিও বার্তায় যেসব দাবি সোহেল তাজের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১১:৫০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩৪ দেখেছেন

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেশকিছু দাবি রেখেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। দুর্নীতি, হত্যা-গুমের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা এবং বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রাখাসহ বেশকিছু দাবি তুল ধরেছেন তিনি। বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব দাবি জানান সোহেল তাজ।

তিনি বলেন, ‘দেশের ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করতে হবে। সরকার প্রশাসনসহ আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী দুর্নীতি, হত্যা ও গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। বিচার ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন এবং পুলিশকে রাজনীতিক প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে।’

অরাজকতা বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ফেলবে। সম্মিলিতভাবে সবাইকে মোকাবিলা করতে হবে। না হলে গভীর সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এখনই সব প্রতিহিংসার অবসান ঘটাতে সবাইকে এক হতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একটি বার্তা স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশের কোন শাসকই ইচ্ছেখুশিমতো দেশ চালাতে পারবে না। দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে আবারও দেশের তারুণ্য গর্জে উঠবে।’

উল্লেখ্য, সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরই প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। একপর্যায়ে সংসদ সদস্যের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন।

ভিডিও বার্তায় যেসব দাবি সোহেল তাজের

আপডেট : ১১:৫০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেশকিছু দাবি রেখেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। দুর্নীতি, হত্যা-গুমের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা এবং বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রাখাসহ বেশকিছু দাবি তুল ধরেছেন তিনি। বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব দাবি জানান সোহেল তাজ।

তিনি বলেন, ‘দেশের ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করতে হবে। সরকার প্রশাসনসহ আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী দুর্নীতি, হত্যা ও গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। বিচার ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন এবং পুলিশকে রাজনীতিক প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে।’

অরাজকতা বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ফেলবে। সম্মিলিতভাবে সবাইকে মোকাবিলা করতে হবে। না হলে গভীর সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এখনই সব প্রতিহিংসার অবসান ঘটাতে সবাইকে এক হতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একটি বার্তা স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশের কোন শাসকই ইচ্ছেখুশিমতো দেশ চালাতে পারবে না। দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে আবারও দেশের তারুণ্য গর্জে উঠবে।’

উল্লেখ্য, সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরই প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। একপর্যায়ে সংসদ সদস্যের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন।