১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় সম্মত ইসরায়েল

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের দাবি অনুসারে আগামী ১৫ আগস্ট গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধের কারণে আকাশচুম্বী উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নতুন করে আরও দুটি স্কুলে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় হামাস নিয়ন্ত্রিত প্রতিরক্ষা এজেন্সি।

গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পর যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা ১০ মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে ইসরায়েল ও হামাসকে দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।

গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী তিন দেশের নেতারা যুদ্ধে জড়িত পক্ষগুলোকে আগামী ১৫ আগস্ট দোহা অথবা কায়রোতে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায়। এতে তাদের নিজেদের মধ্যে থাকা দূরত্ব কমিয়ে যত দ্রুত সম্ভব একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো এখন আলোচনার টেবিলে রয়েছে এবং মধ্যস্থতাকারীরা রয়ে যাওয়া অন্যান্য ইস্যুতে একটি সেতুবন্ধনের প্রস্তাবনার বিষয়ে কাজ করছেন।

নেতানিয়াহুর অফিস থেকে জানানো হয়, আগামী ১৫ আগস্ট ইসরায়েল আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে এবং তারা চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করবে।

প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ধারাবাহিকভাবে গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি এবং উপত্যকার দুর্দশাগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য সাহায্য সামগ্রী পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানানো হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া রূপরেখা অনুসারে সাম্প্রতিক আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে। গত মে মাসে তিনি মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার জন্য একটি রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন। তবে সে সময় এটি ইসরায়েলের প্রস্তাবনার আলোকে তৈরি বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা এমন নয়, সব কিছু তৈরি থাকল আর আপনি গিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করলেন। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কাজ পড়ে আছে।’ কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইসরায়েল আলোচনার এসব ধারণাকে বেশ গ্রহণযোগ্য মনে করছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় সম্মত ইসরায়েল

আপডেট : ১১:৫১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের দাবি অনুসারে আগামী ১৫ আগস্ট গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধের কারণে আকাশচুম্বী উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নতুন করে আরও দুটি স্কুলে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় হামাস নিয়ন্ত্রিত প্রতিরক্ষা এজেন্সি।

গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পর যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা ১০ মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে ইসরায়েল ও হামাসকে দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।

গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী তিন দেশের নেতারা যুদ্ধে জড়িত পক্ষগুলোকে আগামী ১৫ আগস্ট দোহা অথবা কায়রোতে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায়। এতে তাদের নিজেদের মধ্যে থাকা দূরত্ব কমিয়ে যত দ্রুত সম্ভব একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো এখন আলোচনার টেবিলে রয়েছে এবং মধ্যস্থতাকারীরা রয়ে যাওয়া অন্যান্য ইস্যুতে একটি সেতুবন্ধনের প্রস্তাবনার বিষয়ে কাজ করছেন।

নেতানিয়াহুর অফিস থেকে জানানো হয়, আগামী ১৫ আগস্ট ইসরায়েল আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে এবং তারা চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করবে।

প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ধারাবাহিকভাবে গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি এবং উপত্যকার দুর্দশাগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য সাহায্য সামগ্রী পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হবে বলে জানানো হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া রূপরেখা অনুসারে সাম্প্রতিক আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে। গত মে মাসে তিনি মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার জন্য একটি রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন। তবে সে সময় এটি ইসরায়েলের প্রস্তাবনার আলোকে তৈরি বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা এমন নয়, সব কিছু তৈরি থাকল আর আপনি গিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করলেন। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কাজ পড়ে আছে।’ কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইসরায়েল আলোচনার এসব ধারণাকে বেশ গ্রহণযোগ্য মনে করছে।