ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতেই থাকবেন শেখ হাসিনা (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ভারতে থাকতে পারেন বলে ভারতের সরকারি সূত্রে জানা গেছে। তবে আশ্রয় বা শরণার্থী ক্যাটাগরিতে নয়, ভিসায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।

ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র নিউজ ১৮-কে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপদে কোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা এখনই কার্যকর হচ্ছে না। আমাদের আশ্রয় বা শরণার্থী আইন নেই এবং কেস-টু-কেস ভিত্তিতে থাকার অনুমতি দেয় … তার অবস্থান হবে ভিসায়।

চাকরিতে বিতর্কিত কোটা পদ্ধতি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সহিংস আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সোমবার বাংলাদেশের সামরিক বিমানে করে দিল্লির কাছে হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে যান তিনি। শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য, সেখানে তারা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে বলে জানা গেছে। তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপীয় দেশগুলিতে আশ্রয়ের জন্য তার বিকল্পগুলি অন্বেষণ করছেন।

কোনো দেশেই তার নিরাপদে চলে যাওয়া এখনই কার্যকর হচ্ছে না। ভারতে আশ্রয় বা শরণার্থী আইন নেই। আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের আইন আনিনি। তিনি বলেন, ‘আইনি অবস্থান হচ্ছে আমরা কাউকে শরণার্থী বা আশ্রয় মর্যাদায় রাখতে পারি না।

সূত্র জানায়, আশ্রয় ও শরণার্থী আইন বিশ্বব্যাপী সমস্যা তৈরি করছে। একবার আপনি শরণার্থী ও আশ্রয়ের মর্যাদা দিলে তারা তাদের অধিকার দাবি করে এবং আদালতে যায়। এতে আরও সমস্যা তৈরি হয়। আমরা কেস-টু-কেস ভিত্তিতে স্থগিতাদেশের অনুমতি দিই, তবে সেরকম কোনও আইন নেই।

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আইন করি, তাহলে ইরান, আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকে যে কেউ এসে আশ্রয় চাইতে পারে। তারা আদালতে যাবেন এবং আদালত সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘ সময় নেবে। ততদিনে আপনাদের বসতি হয়ে যাবে।

যুক্তরাজ্যও অভিবাসী বা আশ্রয়প্রার্থীদের সমস্যা ও দাঙ্গার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আশ্রয় আইন বাতিলের কথা ভাবছে।

উল্লেখ্য, ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তা দেবে দেশটি। শেখ হাসিনা এই ক্যাটাগরির ভেতরে পড়েন না।

এদিকে জানা গেছে, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এমনটি জানিয়েছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, আপাতত তিনি (হাসিনা) ভারতে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলেই বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।

গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিন দিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতেই থাকবেন শেখ হাসিনা (ভিডিও)

আপডেট সময় : ০৯:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ভারতে থাকতে পারেন বলে ভারতের সরকারি সূত্রে জানা গেছে। তবে আশ্রয় বা শরণার্থী ক্যাটাগরিতে নয়, ভিসায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।

ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র নিউজ ১৮-কে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপদে কোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা এখনই কার্যকর হচ্ছে না। আমাদের আশ্রয় বা শরণার্থী আইন নেই এবং কেস-টু-কেস ভিত্তিতে থাকার অনুমতি দেয় … তার অবস্থান হবে ভিসায়।

চাকরিতে বিতর্কিত কোটা পদ্ধতি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সহিংস আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সোমবার বাংলাদেশের সামরিক বিমানে করে দিল্লির কাছে হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে যান তিনি। শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য, সেখানে তারা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে বলে জানা গেছে। তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপীয় দেশগুলিতে আশ্রয়ের জন্য তার বিকল্পগুলি অন্বেষণ করছেন।

কোনো দেশেই তার নিরাপদে চলে যাওয়া এখনই কার্যকর হচ্ছে না। ভারতে আশ্রয় বা শরণার্থী আইন নেই। আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের আইন আনিনি। তিনি বলেন, ‘আইনি অবস্থান হচ্ছে আমরা কাউকে শরণার্থী বা আশ্রয় মর্যাদায় রাখতে পারি না।

সূত্র জানায়, আশ্রয় ও শরণার্থী আইন বিশ্বব্যাপী সমস্যা তৈরি করছে। একবার আপনি শরণার্থী ও আশ্রয়ের মর্যাদা দিলে তারা তাদের অধিকার দাবি করে এবং আদালতে যায়। এতে আরও সমস্যা তৈরি হয়। আমরা কেস-টু-কেস ভিত্তিতে স্থগিতাদেশের অনুমতি দিই, তবে সেরকম কোনও আইন নেই।

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আইন করি, তাহলে ইরান, আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকে যে কেউ এসে আশ্রয় চাইতে পারে। তারা আদালতে যাবেন এবং আদালত সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘ সময় নেবে। ততদিনে আপনাদের বসতি হয়ে যাবে।

যুক্তরাজ্যও অভিবাসী বা আশ্রয়প্রার্থীদের সমস্যা ও দাঙ্গার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আশ্রয় আইন বাতিলের কথা ভাবছে।

উল্লেখ্য, ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তা দেবে দেশটি। শেখ হাসিনা এই ক্যাটাগরির ভেতরে পড়েন না।

এদিকে জানা গেছে, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এমনটি জানিয়েছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, আপাতত তিনি (হাসিনা) ভারতে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলেই বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।

গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিন দিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়।