আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘে চিঠি দেবে বিএনপি
- আপডেট সময় : ১১:৩৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেবে বিএনপি। শনিবার (১০ আগস্ট ) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের এ সিদ্ধান্তে কথা জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা বলেন, এই আন্দোলনে বিজয়ের পূর্বে সরকার তার বাহিনী দিয়ে যে নৃশংসভাবে গণহত্যা করা হয়েছে, সেই গণহত্যার ব্যাপারে আমরা প্রথম থেকে কথা বলে এসেছি এবং জাতিসংঘের উদ্বেগ ছিল সবচেয়ে বেশি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জাতিসংঘের কাছে এ বিষয়ে একটা নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে চিঠি পাঠাব। আমরা এটাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যিনি তাকেও একটি চিঠি দেব। একই সঙ্গে ইউএই (সংযুক্ত আরব আমিরাত) যেখানে আমাদের প্রায় ৫০ জন শ্রমিককে বন্দি করা হয়েছে, এই আন্দোলন সমর্থন জানানোর জন্য, আমরা তাদের মুক্তির জন্যও এই সরকারকে উদ্যোগ নিতে চিঠি দেব। এসব চিঠি আগামী দুই-একদিনের মধ্যে দেওয়া হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন। প্রথমে যেটা শুরু করেছেন যেটা নিঃসন্দেহে পুরো জাতির কাছে আশা সৃষ্টি করেছে। আপনি জানেন যে, ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। নতুন একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। আমরা মনে করি, এটা গণতন্ত্রের জন্য সুখবর। যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল বিচার বিভাগে, সেটা অনেকাংশে মুক্ত হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়েছি যে, দেশে ও বিদেশে গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। সেখানে বিভিন্নভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে আক্রমণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, এসব বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে। যা আমরা মনে করি একেবারেই সঠিক নয়। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে, যা সম্প্রদায়গতভাবে নয়, রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, এটার সঙ্গে আমাদের (বিএনপিকে) জড়িয়ে একটা খবর পরিবেশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা বলতে চাই, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়। বাংলাদেশের সুস্থ স্বাভাবিক কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না। এসব নিয়ে একটা চক্রান্ত চলছে, যে চক্রান্তে বাংলাদেশের অর্জিত নতুন করে যে স্বাধীনতা সেটাকে নস্যাৎ করা পরিকল্পনা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল ও সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন।