০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগের যে কারণ জানালেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার কারণ জানিয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পদত্যাগপত্রে তিনি জানান, কোর্টের বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা রক্ষা এবং বিচারপতিদের শারীরিক হেনস্তা এড়াতেই পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগপত্রের বর্ণনায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান লেখেন, ‘সুপ্রিমকার্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিদেরকে শারীরিক হেনস্তা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজ কোর্টগুলো ও রেকর্ড রুম রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।’

এর আগে শনিবার প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়েছেন।

এর আগে আজ ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অবিলম্বে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মদতপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সাথে কোনোপ্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন।’

আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে। এর উপযুক্ত প্রসেসের জন্য কাল বিলম্ব না করে আমরা এটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। আমি আশা করব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আপনারা সবাই শান্ত থাকবেন দেশের সম্পদ নষ্ট করবেন না।’

পদত্যাগের যে কারণ জানালেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

আপডেট : ১১:২১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার কারণ জানিয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পদত্যাগপত্রে তিনি জানান, কোর্টের বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা রক্ষা এবং বিচারপতিদের শারীরিক হেনস্তা এড়াতেই পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগপত্রের বর্ণনায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান লেখেন, ‘সুপ্রিমকার্ট বিল্ডিং এবং এর রেকর্ডসমূহ রক্ষা, কোর্ট প্রাঙ্গণ রক্ষা, বিচারপতিদের বাড়িঘর, জাজেজ টাওয়ার রক্ষা, বিচারপতিদেরকে শারীরিক হেনস্তা থেকে রক্ষা করা এবং জেলা জজ কোর্টগুলো ও রেকর্ড রুম রক্ষার স্বার্থে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো।’

এর আগে শনিবার প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়েছেন।

এর আগে আজ ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অবিলম্বে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মদতপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সাথে কোনোপ্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন।’

আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘পদত্যাগ করেছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর পদত্যাগপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে এসে পৌঁছেছে। এর উপযুক্ত প্রসেসের জন্য কাল বিলম্ব না করে আমরা এটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। আমি আশা করব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আপনারা সবাই শান্ত থাকবেন দেশের সম্পদ নষ্ট করবেন না।’