ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইন্টারনেট বন্ধের কারণ বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ বের করতে তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার (১১ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার ডিজিটাল অধিকারে পরিণত হয়েছে। এটি একটি মানবাধিকারের বিষয়। বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই ইন্টারনেট বন্ধ বা সীমিত করতে হবে। যাতে কারও মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকে। কথায় কথায় ইন্টারনেট বন্ধ করা চলবে না। তারুণ্য নির্ভর আইসিটি খাত গঠনে কাজ করা হবে। কোনও প্রকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, এই আন্দোলনের মটো ছিল মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সেজন্য প্রশাসনে যারা কাজ করছে তারাও যেন মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পায় সেই চেষ্টা করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই জিরো টলারেন্স নীতি বজায় থাকবে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আইসিটি সেক্টরে তরুণদের কাজের একটি বড় সুযোগ আছে। দেশে এমন তরুণ সংখ্যায়ও ব্যাপক। এখন তাদের সঙ্গে সংযুক্তি প্রয়োজন। যারা অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে একটি সংযোগ ঘটানো হবে। কারণ, তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম সক্ষম। শুধু প্রয়োজন তাদেরকে সেই সুযোগ করে দেওয়া।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে মো. নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইন্টারনেট বন্ধের কারণ বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নাহিদ ইসলাম

আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ বের করতে তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার (১১ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার ডিজিটাল অধিকারে পরিণত হয়েছে। এটি একটি মানবাধিকারের বিষয়। বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই ইন্টারনেট বন্ধ বা সীমিত করতে হবে। যাতে কারও মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকে। কথায় কথায় ইন্টারনেট বন্ধ করা চলবে না। তারুণ্য নির্ভর আইসিটি খাত গঠনে কাজ করা হবে। কোনও প্রকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, এই আন্দোলনের মটো ছিল মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সেজন্য প্রশাসনে যারা কাজ করছে তারাও যেন মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পায় সেই চেষ্টা করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্যই জিরো টলারেন্স নীতি বজায় থাকবে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আইসিটি সেক্টরে তরুণদের কাজের একটি বড় সুযোগ আছে। দেশে এমন তরুণ সংখ্যায়ও ব্যাপক। এখন তাদের সঙ্গে সংযুক্তি প্রয়োজন। যারা অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে একটি সংযোগ ঘটানো হবে। কারণ, তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম সক্ষম। শুধু প্রয়োজন তাদেরকে সেই সুযোগ করে দেওয়া।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে মো. নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।