ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের সাত খুন মাফ আর বিরোধী দলের মানুষ আয়নাঘরে থাকবে, এটা আমরা চাই না। তিনি বলেন, ভেদাভেদ মুক্ত ন্যায়ের পক্ষে আমরা থাকতে চাই।
রোববার (১১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : কেমন বাংলাদেশ চাই?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজি।
ফয়জুল করীম বলেন, ওসি, এসপি, ডিসি পরিবর্তন হলেও ঘুষ পরিবর্তন হয়নি। কারণ চেয়ারে বসা লোকেরা দুর্নীতিবাজ। তাই আমরা নীতির পরিবর্তন চাই। ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পরে যারা জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর, চুরি, ডাকাতি করেছে তারা দেশকে পরিবর্তন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, জনগণের ভ্যাট ও ট্যাক্সের পয়সায় যারা জীবিকা নির্বাহ করে তারা মালিক হয়ে গেছে। তারা জনগণকে শোষণ করে। সামাজিক ন্যায়বিচার চাই।
কোরআন হাদিসের আইন অনুযায়ী পরিচালিত বাংলাদেশ চাই মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ নেতা বলেন, দেশে সাম্য নেই। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা সব পাবে আর সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকে। সব ক্ষেত্রে সবার সমঅধিকার থাকবে।
ফয়জুল করীম বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন করতে হবে। এ পরিবর্তনের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ওলামা ও তোলাবাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ছিল বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যখন কথা বলা যায়নি, তখন আমরা কথা বলেছি। আমরা বলেছি সেনাবাহিনী, ভারত, রাশিয়া ও চীন আপনাকে রক্ষা করতে পারবেন না। রক্ষা হয়ওনি।
দলটির নেতারা বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ রাজনৈতিক দল না, অরাজনৈতিক দল তা বুঝতে পারছি না। হেফাজতের অবস্থান স্পষ্ট করে কাজ করা দরকার।
মুফতি রেজাউল করীম আবরার ও মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফীর যৌথ পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন দলটির নেতা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী, আবদুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, হাফিজুর রহমান সিদ্দিক কুয়াকাটা, মোহাম্মদ আলী কাসেমী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হাসান আজহারী প্রমুখ।