ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে নতুন যুদ্ধবিরতি আলোচনার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে হামাস। আগামী ১৫ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসকে জরুরি আলোচনায় বসতে প্রস্তাব আনে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতার। এরইমধ্যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে নতুন এই আলোচনায় হামাস অংশ নেবে কি না, এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, নতুন আলোচনার নামে ইসরায়েল কালক্ষেপণ করবে বলে মনে করছে হামাস। আগের যুদ্ধবিরতি আলোচনার ভিত্তিতে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে মধ্যস্থতাকারীদের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি।
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, গত ৩১ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন তার ওপর ভিত্তি করে একটি পরিকল্পনা করতে হবে। নতুন যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রস্তাবের বদলে মধ্যস্থতাকারীদের উচিত এটি বাস্তবায়ন করতে ইসরায়লের সঙ্গে কাজ করা। কারণ, নতুন আলোচনা ইসরায়েলকে আগ্রাসন ঢাকার এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে যেতে আরও সময় দেবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের পক্ষ থেকে হামাস ও ইসরায়েলকে ১৫ আগস্ট দোহা বা কায়রোতে নতুন আলোচনা শুরু করার আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিবৃতিতে মিসর ও কাতারের কর্মকর্তারা বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি প্রাথমিক কাঠামো তৈরি হয়েছে। তবে এর বিস্তারিত এবং প্রয়োজনীয় শর্তগুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চুক্তিটি সম্পন্ন করতে দুই পক্ষের আলোচনায় বসা জরুরি। চুক্তি সম্পন্ন করার উদ্দেশে আগামী ১৫ আগস্ট অবশ্যই দুই পক্ষকে আলোচনায় বসতে হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এখন আর অজুহাত বা বিলম্ব করার মতো পরিস্থিতি হাতে নেই। এখন জিম্মিদের মুক্ত করার, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার এবং চুক্তিতে পৌঁছানোর সময়। বৈঠকের মাধ্যমে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যেসব বিষয়ে দূরত্ব রয়েছে তা মিটিয়ে ফেলতে হবে।’