ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শেখ হাসিনা ভারতে থাকলেও দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিনই ভারতের আশ্রয়ে থাকুক না কেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না বাংলাদেশের।

আজ ১২ আগস্ট সোমবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রথম কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের পর সাংবাদিকদের তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বার্থের এবং সেখানে যে যার স্বার্থ দেখবে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ব্রিফিংয়ের সময় আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের কেউই কোন দেশের হয়ে কাজ করছেন না।

কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং তাদের প্রতিনিধিরা। আসেন জাতিসংঘ এবং বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন অংশীদাররাও।

প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, নতুন সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট, সম্ভাব্য সংস্কার, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয় কূটনীতিকদের। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানের পাশাপাশি নতুন সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কূটনীতিকরা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করে আমাদের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়ন হবে কিনা জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা খুব হাইপোথিক্যাল (অনুমানমূলক) প্রশ্ন। একজন যদি কোনো এক দেশে গিয়ে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে কেন? তার তো কোনো কারণ নেই।

পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপক্ষীয় বিষয় কিন্তু অনেক বড় বিষয়। এটা স্বার্থের সম্পর্ক। বন্ধুত্বটা কিন্তু স্বার্থের সম্পর্ক। দুই পক্ষের স্বার্থ আছে, ভারতের স্বার্থ আছে; ভারতে আমাদের স্বার্থ আছে। কাজেই আমরা সেই স্বার্থকে অনুসরণ করব। আমাদের সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা থাকতে হবে।

কূটনীতিকদের ব্রিফের কারণ উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রদূতদের ডাকা হয়েছে। সরকার কোন প্রেক্ষাপটে এসেছে এসব বিষয়ে বলা হয়েছে। আমরা আমাদের উদ্দেশ্য বলেছি। একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটা যারা এনেছে তাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। তাদের চাওয়া কোনো বৈষম্য থাকবে না। এই সরকার এ উদ্দেশ্যে কাজ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনা ভারতে থাকলেও দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিনই ভারতের আশ্রয়ে থাকুক না কেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে না বাংলাদেশের।

আজ ১২ আগস্ট সোমবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রথম কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের পর সাংবাদিকদের তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বার্থের এবং সেখানে যে যার স্বার্থ দেখবে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ব্রিফিংয়ের সময় আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের কেউই কোন দেশের হয়ে কাজ করছেন না।

কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং তাদের প্রতিনিধিরা। আসেন জাতিসংঘ এবং বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন অংশীদাররাও।

প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, নতুন সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট, সম্ভাব্য সংস্কার, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয় কূটনীতিকদের। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানের পাশাপাশি নতুন সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কূটনীতিকরা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করে আমাদের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়ন হবে কিনা জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা খুব হাইপোথিক্যাল (অনুমানমূলক) প্রশ্ন। একজন যদি কোনো এক দেশে গিয়ে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে কেন? তার তো কোনো কারণ নেই।

পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপক্ষীয় বিষয় কিন্তু অনেক বড় বিষয়। এটা স্বার্থের সম্পর্ক। বন্ধুত্বটা কিন্তু স্বার্থের সম্পর্ক। দুই পক্ষের স্বার্থ আছে, ভারতের স্বার্থ আছে; ভারতে আমাদের স্বার্থ আছে। কাজেই আমরা সেই স্বার্থকে অনুসরণ করব। আমাদের সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা থাকতে হবে।

কূটনীতিকদের ব্রিফের কারণ উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রদূতদের ডাকা হয়েছে। সরকার কোন প্রেক্ষাপটে এসেছে এসব বিষয়ে বলা হয়েছে। আমরা আমাদের উদ্দেশ্য বলেছি। একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটা যারা এনেছে তাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। তাদের চাওয়া কোনো বৈষম্য থাকবে না। এই সরকার এ উদ্দেশ্যে কাজ করছে।