ঢাকা ১১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অত্যধিক তাপমাত্রায় ইউরোপে ৫০ হাজার মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪০৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে গত বছর ইউরোপে ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ (আইএসগ্লোবাল)। এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণের দেশগুলোতে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে ইউরোপের শীতপ্রধান দেশগুলোতে গরম বাড়তে শুরু করেছে। ২০২৩ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। ওই বছর এই গরমের প্রভাবে ইউরোপে মৃত্যু বেড়েছে। এমনটাই বলছে পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গরম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় আগে থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শুরু হয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু এতেও মৃত্যু এতটা কমানো যায়নি।

গরমে আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে গত জুনে। এর আগে কোনো জুন মাসে এত বেশি গরম ছিল না। এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম জুন। সম্প্রতি এক বুলেটিনে এমন তথ্যই দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস)। জলবায়ু নিয়ে কাজ করা এই সংস্থা বলছে, ২০২৪ হতে যাচ্ছে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০২৩ সালে রেকর্ড গরম ছিল। ওই বছরের জুন থেকে প্রতি মাসেই গরমে নতুন রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে সিথ্রিএস। এ কারণে চলতি বছর আগের সব রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এর কারণ হিসেবে মানবসৃষ্ট কার্যক্রম ও এল নিনোকে দায়ী করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বার্কলে আর্থের গবেষক জেকে হাউসফেদার বলেন, ‘উনিশ শতকের মধ্যভাগে তাপমাত্রা রেকর্ড শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হচ্ছে ২০২৩। চলতি বছরে গরম দেখে মনে হচ্ছে, ২০২৩ কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ২০২৪। এমন আশঙ্কা ৯৫ শতাংশ।’

এমন মনে করছেন লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গ্রাথাম ইনস্টিটিউটের জলবায়ু বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক ওটোও। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘গরমে ২০২৪ সালে আগের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর জন্য প্রাকৃতিক কারণ হিসেবে এল নিনোকে দায়ী করা হয়ে থাকে। দায় কিন্তু আমাদেরও রয়েছে। আমরা তেল, গ্যাস ও কয়লা পুড়ানো বন্ধ করতে পারি।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস) বলছে, গত জুনের আগের ১২ মাসে গড় তাপমাত্রা ছিল প্রাক-শিল্প যুগের পর গড়ের চেয়ে ১ দশমিক ৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

অত্যধিক তাপমাত্রায় ইউরোপে ৫০ হাজার মৃত্যু

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে গত বছর ইউরোপে ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ (আইএসগ্লোবাল)। এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণের দেশগুলোতে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে ইউরোপের শীতপ্রধান দেশগুলোতে গরম বাড়তে শুরু করেছে। ২০২৩ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। ওই বছর এই গরমের প্রভাবে ইউরোপে মৃত্যু বেড়েছে। এমনটাই বলছে পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গরম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় আগে থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শুরু হয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু এতেও মৃত্যু এতটা কমানো যায়নি।

গরমে আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে গত জুনে। এর আগে কোনো জুন মাসে এত বেশি গরম ছিল না। এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম জুন। সম্প্রতি এক বুলেটিনে এমন তথ্যই দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস)। জলবায়ু নিয়ে কাজ করা এই সংস্থা বলছে, ২০২৪ হতে যাচ্ছে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০২৩ সালে রেকর্ড গরম ছিল। ওই বছরের জুন থেকে প্রতি মাসেই গরমে নতুন রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে সিথ্রিএস। এ কারণে চলতি বছর আগের সব রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এর কারণ হিসেবে মানবসৃষ্ট কার্যক্রম ও এল নিনোকে দায়ী করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বার্কলে আর্থের গবেষক জেকে হাউসফেদার বলেন, ‘উনিশ শতকের মধ্যভাগে তাপমাত্রা রেকর্ড শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হচ্ছে ২০২৩। চলতি বছরে গরম দেখে মনে হচ্ছে, ২০২৩ কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ২০২৪। এমন আশঙ্কা ৯৫ শতাংশ।’

এমন মনে করছেন লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গ্রাথাম ইনস্টিটিউটের জলবায়ু বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক ওটোও। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘গরমে ২০২৪ সালে আগের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর জন্য প্রাকৃতিক কারণ হিসেবে এল নিনোকে দায়ী করা হয়ে থাকে। দায় কিন্তু আমাদেরও রয়েছে। আমরা তেল, গ্যাস ও কয়লা পুড়ানো বন্ধ করতে পারি।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস) বলছে, গত জুনের আগের ১২ মাসে গড় তাপমাত্রা ছিল প্রাক-শিল্প যুগের পর গড়ের চেয়ে ১ দশমিক ৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।