ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
সংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই, সংস্কারের পাশাপাশি সঠিক সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন জরুরি : তারেক রহমান

চক্রান্তকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা একই বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ। একই রাষ্ট্রের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ। একটা গাছের বিভিন্ন ডালপালা থাকে। কিন্তু চক্রান্তকারীরা আমাদের বিভক্ত করে দেশে অস্থিতিশীল করতে চায়। আমাদের এই দীর্ঘদিনের সমাজকে ভাঙতে চায়।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি। হিন্দু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা বাংলাদেশি, কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান বিএনপি কখনো পার্থক্য করেনি। শেখ হাসিনা এটা করতেন। কথায় কথায় তিনি বলতেন এটা সাম্প্রদায়িকরা করেছেন। আপনি (শেখ হাসিনা) এতদিন ক্ষমতায় ছিলেন। আপনার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কক্সবাজার, বগুড়া, পাবনায় এতগুলো মন্দির কেন ভাঙা হয়েছে? আমাদের অন্য ধর্মাবলম্বী ভাই বোনরা সবচেয়ে অনিরাপদ ছিল শেখ হাসিনার শাসনামলে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়েছেন কিন্তু অনেক টাকা আগে পাচার করেছে। এখন তারা সেই টাকা ব্যবহার করে সমাজের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করার জন্য। এবং শেখ হাসিনার পালানোর প্রথম থেকেই এটা চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা এদেশের মানুষ হতে দেবে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এ দেশের শিশু কিশোর তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। সারা দেশের লাখ লাখ মানুষ গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে একটি স্বপ্ন পূরণের জন্য। এটা একটি স্বপ্ন পূরণের গণঅভ্যুত্থান। তাদের এই বলিদান বৃথা হবে না। নেতা হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের এই দেশে ঐক্যবদ্ধ সমাজ হবে সেটা হবে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম খ্রিস্টান ঐক্যবদ্ধ সমাজ।

সমাবেশ শেষে তিনি ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আগামী ১৪ আগস্ট ও ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে সারাদেশে দলীয় কার্যালয় সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র জনতার উপর যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, সেই খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

এছাড়া আগামী ১৬ আগস্ট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় এবং যারা এই সাম্প্রতিক আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন ও আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ঐদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষরা তাদের উপাসনালয়ে প্রার্থনা করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

চক্রান্তকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় : রিজভী

আপডেট সময় : ১১:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা একই বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ। একই রাষ্ট্রের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ। একটা গাছের বিভিন্ন ডালপালা থাকে। কিন্তু চক্রান্তকারীরা আমাদের বিভক্ত করে দেশে অস্থিতিশীল করতে চায়। আমাদের এই দীর্ঘদিনের সমাজকে ভাঙতে চায়।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি। হিন্দু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা বাংলাদেশি, কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান বিএনপি কখনো পার্থক্য করেনি। শেখ হাসিনা এটা করতেন। কথায় কথায় তিনি বলতেন এটা সাম্প্রদায়িকরা করেছেন। আপনি (শেখ হাসিনা) এতদিন ক্ষমতায় ছিলেন। আপনার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কক্সবাজার, বগুড়া, পাবনায় এতগুলো মন্দির কেন ভাঙা হয়েছে? আমাদের অন্য ধর্মাবলম্বী ভাই বোনরা সবচেয়ে অনিরাপদ ছিল শেখ হাসিনার শাসনামলে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়েছেন কিন্তু অনেক টাকা আগে পাচার করেছে। এখন তারা সেই টাকা ব্যবহার করে সমাজের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করার জন্য। এবং শেখ হাসিনার পালানোর প্রথম থেকেই এটা চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা এদেশের মানুষ হতে দেবে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এ দেশের শিশু কিশোর তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। সারা দেশের লাখ লাখ মানুষ গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে একটি স্বপ্ন পূরণের জন্য। এটা একটি স্বপ্ন পূরণের গণঅভ্যুত্থান। তাদের এই বলিদান বৃথা হবে না। নেতা হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের এই দেশে ঐক্যবদ্ধ সমাজ হবে সেটা হবে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম খ্রিস্টান ঐক্যবদ্ধ সমাজ।

সমাবেশ শেষে তিনি ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আগামী ১৪ আগস্ট ও ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে সারাদেশে দলীয় কার্যালয় সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র জনতার উপর যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, সেই খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

এছাড়া আগামী ১৬ আগস্ট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় এবং যারা এই সাম্প্রতিক আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন ও আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ঐদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষরা তাদের উপাসনালয়ে প্রার্থনা করবেন।