০৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১১:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৩ দেখেছেন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী (২৪) হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আইনজীবী না থাকায় এক পাক্ষিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদীপক্ষের আইনজীবীরাই শুনানিতে শুধু অংশ নেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত দুজনকেই ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুই আসামির পক্ষে কয়েকজন আইনজীবী যান শুনানি করতে। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা তাদের আদালতে থাকতে দেননি। অবশেষে তোপের মুখে আদালত ছাড়েন তারা।

ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও ঢাকা বার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আজকে হাজার হাজার আইনজীবী এখানে বিক্ষোভ করছে। তারা আসামিদের ফাঁসির দাবি করেছেন। আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী এখানে উপস্থিত নেই। এটাই প্রমাণ করে তারা আইনের শাসনে বিশ্বাসী ছিলেন না।

এর আগে বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে ৯টি গাড়িবহরের নিরাপত্তা নিয়ে ওই দুই আসামিকে নিয়ে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ। পরে সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে তাদের বহনকারী প্রিজনভ্যান আদালতে পৌঁছায়। সেখানে নেওয়ার পর প্রথমে তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়।

এদিকে আদালত প্রাঙ্গণে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে বহন করা প্রিজনভ্যান পৌঁছালে সেখানে আইনজীবীরা ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশের প্রিজন ভ্যানের সামনে চড়ে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে দেখা যায় আইনজীবীদের। এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়। বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে প্রিজনভ্যানটি ভেতরে ঢোকাতে বেশ বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। প্রিজনভ্যান লক্ষ্য করে এসময় ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের হেভিওয়েট এই দুই ব্যক্তিকে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা দিয়ে নৌপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের তল্লাশি করে এসব মুদ্রা ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

বুধবার (১৪ আগস্ট) নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলার রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক মো. সজীব মিয়া এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সালমান এফ রহমানের কাছে থেকে ১২ হাজার ৬২৪ ইউএস ডলার, ৬২০ সুইস ফ্রাংক, সাড়ে আট হাজার দিরহাম, ১৩ লাখ উজবেকিস্তানের সোম, ১১ হাজার ৬৫০ রিয়াল, ৭৭৯ সিঙ্গাপুরের ডলার, দেড়শো পাউন্ড, এক হাজার ৩২১ ইউরো, ৫০ হাজার টাকা, ছয় হাজার ২৩০ ভুটানের গুলট্রাম, এক হাজার রূপী, তিন হাজার ৩২০ থাইল্যান্ডের বাথ মুদ্রা জব্দ করা রয়েছে। পাশাপাশি তার কাছে থেকে সবুজ রঙের ৫টি ও একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। এছাড়া আনিসুল হকের কাছে থেকে ১৭ হাজার ৫১২ ইউএস ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুরের ডলার এবং ৩টি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।

১০ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান

আপডেট : ১১:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী (২৪) হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আইনজীবী না থাকায় এক পাক্ষিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদীপক্ষের আইনজীবীরাই শুনানিতে শুধু অংশ নেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত দুজনকেই ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুই আসামির পক্ষে কয়েকজন আইনজীবী যান শুনানি করতে। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা তাদের আদালতে থাকতে দেননি। অবশেষে তোপের মুখে আদালত ছাড়েন তারা।

ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও ঢাকা বার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আজকে হাজার হাজার আইনজীবী এখানে বিক্ষোভ করছে। তারা আসামিদের ফাঁসির দাবি করেছেন। আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী এখানে উপস্থিত নেই। এটাই প্রমাণ করে তারা আইনের শাসনে বিশ্বাসী ছিলেন না।

এর আগে বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে ৯টি গাড়িবহরের নিরাপত্তা নিয়ে ওই দুই আসামিকে নিয়ে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ। পরে সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে তাদের বহনকারী প্রিজনভ্যান আদালতে পৌঁছায়। সেখানে নেওয়ার পর প্রথমে তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়।

এদিকে আদালত প্রাঙ্গণে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে বহন করা প্রিজনভ্যান পৌঁছালে সেখানে আইনজীবীরা ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশের প্রিজন ভ্যানের সামনে চড়ে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে দেখা যায় আইনজীবীদের। এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়। বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে প্রিজনভ্যানটি ভেতরে ঢোকাতে বেশ বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। প্রিজনভ্যান লক্ষ্য করে এসময় ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের হেভিওয়েট এই দুই ব্যক্তিকে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা দিয়ে নৌপথে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের তল্লাশি করে এসব মুদ্রা ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।

বুধবার (১৪ আগস্ট) নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলার রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক মো. সজীব মিয়া এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সালমান এফ রহমানের কাছে থেকে ১২ হাজার ৬২৪ ইউএস ডলার, ৬২০ সুইস ফ্রাংক, সাড়ে আট হাজার দিরহাম, ১৩ লাখ উজবেকিস্তানের সোম, ১১ হাজার ৬৫০ রিয়াল, ৭৭৯ সিঙ্গাপুরের ডলার, দেড়শো পাউন্ড, এক হাজার ৩২১ ইউরো, ৫০ হাজার টাকা, ছয় হাজার ২৩০ ভুটানের গুলট্রাম, এক হাজার রূপী, তিন হাজার ৩২০ থাইল্যান্ডের বাথ মুদ্রা জব্দ করা রয়েছে। পাশাপাশি তার কাছে থেকে সবুজ রঙের ৫টি ও একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। এছাড়া আনিসুল হকের কাছে থেকে ১৭ হাজার ৫১২ ইউএস ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুরের ডলার এবং ৩টি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।