ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বিজিএমই-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করেছেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তারা প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ভগ্ন অর্থনীতি পেয়েছে এবং তারা এখন দেশকে ঠিক করার এবং একে প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার কঠিন কাজের সম্মুখীন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) নেতাদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস আজ বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে। আমরা একটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়েছি। তারা আমাদেরকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে গেছে। কিন্তু, সবার সহযোগিতায় আমরা দেশকে পুনর্গঠন করতে পারব।’

বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ও পরিচালকবৃন্দসহ পোশাক শিল্পোদ্যোক্তাদের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বলেন, দেশ ব্যর্থ হতে পারে না। ‘হলে এর প্রভাব হবে বিপর্যয়কর। জাতির অস্তিত্বই সংকটের সম্মুখীন হতে পারে।’

তিনি পোশাক প্রস্তুতকারকদের তাদের ব্যবসাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে আপনারা ব্যবসাকে রাজনীতির সাথে মেশাবেন না।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের নৃশংস স্বৈরাচারের পতন ঘটানো ছাত্র বিপ্লব ‘মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন’। ‘তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। তারা যখন আমাকে ফোন করে দেশের নেতৃত্ব হাতে নেওয়ার অনুরোধ করে তখন আমি বিদেশে ছিলাম।’

বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তারা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বকে পূর্ণ সমর্থন করেন। তারা এ খাতের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান। তারা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা কামনা করেন।

তারা শিথিল ঋণ পরিশোধ এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধসহ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ইউনূস ধৈর্য সহকারে তাদের কথা শোনেন এবং তাদের দাবিগুলো বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘আমরা প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব। বাংলাদেশের জনগণের অসীম প্রতিভা রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আমরা চাই এটি আরো প্রসার লাভ করুক।’

বৈঠক শেষে বিজিএমইএ এর পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন গার্মেন্টস সেক্টরের জ্বালানি, তারল্য সংকটসহ নানা সমস্যার কথা জানানো হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে।

তিনি আরও বলেন প্রধান উপদেষ্টাকে আরও জানানো হয় সরকার প্রধান হওয়ায় বিদেশী ক্রেতারা আস্থা ফিরে পেয়েছে। কীভাবে ক্রয় আদেশ, রপ্তানি আদেশ আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোগিতা চেয়েছে বলে জানান। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা

আপডেট সময় : ১১:০৫:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বিজিএমই-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করেছেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তারা প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ভগ্ন অর্থনীতি পেয়েছে এবং তারা এখন দেশকে ঠিক করার এবং একে প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার কঠিন কাজের সম্মুখীন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) নেতাদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস আজ বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে। আমরা একটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়েছি। তারা আমাদেরকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে গেছে। কিন্তু, সবার সহযোগিতায় আমরা দেশকে পুনর্গঠন করতে পারব।’

বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ও পরিচালকবৃন্দসহ পোশাক শিল্পোদ্যোক্তাদের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বলেন, দেশ ব্যর্থ হতে পারে না। ‘হলে এর প্রভাব হবে বিপর্যয়কর। জাতির অস্তিত্বই সংকটের সম্মুখীন হতে পারে।’

তিনি পোশাক প্রস্তুতকারকদের তাদের ব্যবসাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে আপনারা ব্যবসাকে রাজনীতির সাথে মেশাবেন না।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের নৃশংস স্বৈরাচারের পতন ঘটানো ছাত্র বিপ্লব ‘মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন’। ‘তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। তারা যখন আমাকে ফোন করে দেশের নেতৃত্ব হাতে নেওয়ার অনুরোধ করে তখন আমি বিদেশে ছিলাম।’

বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তারা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বকে পূর্ণ সমর্থন করেন। তারা এ খাতের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান। তারা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা কামনা করেন।

তারা শিথিল ঋণ পরিশোধ এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধসহ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ইউনূস ধৈর্য সহকারে তাদের কথা শোনেন এবং তাদের দাবিগুলো বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘আমরা প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব। বাংলাদেশের জনগণের অসীম প্রতিভা রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আমরা চাই এটি আরো প্রসার লাভ করুক।’

বৈঠক শেষে বিজিএমইএ এর পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন গার্মেন্টস সেক্টরের জ্বালানি, তারল্য সংকটসহ নানা সমস্যার কথা জানানো হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে।

তিনি আরও বলেন প্রধান উপদেষ্টাকে আরও জানানো হয় সরকার প্রধান হওয়ায় বিদেশী ক্রেতারা আস্থা ফিরে পেয়েছে। কীভাবে ক্রয় আদেশ, রপ্তানি আদেশ আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোগিতা চেয়েছে বলে জানান। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।