ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বৈধপথে ৭ দিনে রেমিট্যান্স ৩৯ কোটি ডলার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকার পরিবর্তনের পর বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। ব্যাংকাররা বলছেন, নতুন সরকারের প্রতি আস্থার কারণে সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে প্রবাসী আয়। এদিকে দেশের খোলা বাজারেও ডলারের দাম কমেছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, নগদ ডলার কিনে রাখার প্রবণতা কমার পাশাপাশি অর্থপাচার কমলে, সুফল মিলবে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে।

ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রবাসীরা বয়কট রেমিট্যান্সের ডাক দেয়। এতে গত মাসের শেষ ১১ দিনে মাত্র ৩৮ কোটি ডলার আসে। কিন্তু সরকার পতনের পর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের পালে জোর হাওয়া লাগে। আগস্টের প্রথম তিন দিনে এসেছিল সাড়ে ৯ কোটি ডলার। পরের সাত দিনে এসেছে প্রায় ৩৯ কোটি ডলার।

কাতারে অবস্থানরত এক প্রবাসী বলেন, ‘আমরা একটা নির্দিষ্ট কারণে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন থেকে আমরা নিয়মিত বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাব।’

এ বিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলছেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকা, আগের সরকারের প্রতি প্রবাসীদের অনাস্থায় রেমিট্যান্স কমে যায়। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন সরকারের প্রতিশ্রুতিতে তাঁরা আস্থা রাখছেন।

এদিকে দেশের খোলাবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ডলারের দাম কমেছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ১১৯-১২১ টাকার মধ্যে।

ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে ডলার কিনতে এসে দেখা যায় টাকার বিপরীতে এক ডলারের দাম ১২৬ টাকা। তবে এখন তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১১৮ টাকায়।

অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মনে করেন, দেশে স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করায় নগদ ডলার কিনে রাখার প্রবণতা কমছে। সেইসঙ্গে অর্থপাচার রোধ করা গেলে মুদ্রাবাজারে স্বস্তি বাড়বে।

গত জুলাই মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা দেশে পাঠান ১৯১ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ কোটি ডলার কম।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বৈধপথে ৭ দিনে রেমিট্যান্স ৩৯ কোটি ডলার

আপডেট সময় : ০৪:১১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

সরকার পরিবর্তনের পর বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। ব্যাংকাররা বলছেন, নতুন সরকারের প্রতি আস্থার কারণে সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে প্রবাসী আয়। এদিকে দেশের খোলা বাজারেও ডলারের দাম কমেছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, নগদ ডলার কিনে রাখার প্রবণতা কমার পাশাপাশি অর্থপাচার কমলে, সুফল মিলবে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে।

ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রবাসীরা বয়কট রেমিট্যান্সের ডাক দেয়। এতে গত মাসের শেষ ১১ দিনে মাত্র ৩৮ কোটি ডলার আসে। কিন্তু সরকার পতনের পর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের পালে জোর হাওয়া লাগে। আগস্টের প্রথম তিন দিনে এসেছিল সাড়ে ৯ কোটি ডলার। পরের সাত দিনে এসেছে প্রায় ৩৯ কোটি ডলার।

কাতারে অবস্থানরত এক প্রবাসী বলেন, ‘আমরা একটা নির্দিষ্ট কারণে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন থেকে আমরা নিয়মিত বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাব।’

এ বিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলছেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকা, আগের সরকারের প্রতি প্রবাসীদের অনাস্থায় রেমিট্যান্স কমে যায়। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন সরকারের প্রতিশ্রুতিতে তাঁরা আস্থা রাখছেন।

এদিকে দেশের খোলাবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ডলারের দাম কমেছে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ১১৯-১২১ টাকার মধ্যে।

ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে ডলার কিনতে এসে দেখা যায় টাকার বিপরীতে এক ডলারের দাম ১২৬ টাকা। তবে এখন তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১১৮ টাকায়।

অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মনে করেন, দেশে স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করায় নগদ ডলার কিনে রাখার প্রবণতা কমছে। সেইসঙ্গে অর্থপাচার রোধ করা গেলে মুদ্রাবাজারে স্বস্তি বাড়বে।

গত জুলাই মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা দেশে পাঠান ১৯১ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ কোটি ডলার কম।