ধর্ষণ কাণ্ডে আন্দোলনে উত্তাল কলকাতা
- আপডেট সময় : ০২:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের এক দফা দাবি নিয়ে আজ শুক্রবার (১৬ই আগস্ট) মাঠে নামছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা দিয়েছেন।
শুক্রবার রাজ্য বিজেপি আর জি কর হাসপাতালের কাছে অবস্থান ধর্মঘট করবে। পাশাপাশি আজ বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজ্যব্যাপী সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে। বিকেল ৪টার পর রাজ্য বিজেপির নারী মোর্চা মোমবাতি নিয়ে মিছিল করবে। এই মিছিল যাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কালীঘাটের বাসভবন পর্যন্ত। সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মমতার পদত্যাগের দাবিতে রাজ্য বিজেপি আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। সামনের দিনগুলোয় তারা বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
এদিকে, বুধবার মধ্যরাতে (১৫ই আগস্ট) ‘‘রাত দখল কর’’ নামক নারীদের এক কর্মসূচিতে ও আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় অনেক পুলিশও আহত হয়। এঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেছেন, আর জি কর হাসপাতালে গভীর রাতে হামলা চালিয়েছে মমতার গুন্ডারা। তারা চাইছে, সব প্রমাণ লোপাট করতে।
অন্যদিকে তৃণমূল বলেছে, হামলার পেছনে রয়েছে বিজেপি ও সিপিএমের হাত। গতকাল বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা দক্ষিণ কলকাতার বেহালায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জন্য তিনি চিকিৎসকদের অনুরোধ করছেন। তবে মমতার অনুরোধে চিকিৎসকেরা সাড়া দেননি।
হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বাম দল এসইউসিআই আজ শুক্রবার অর্ধদিবস বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ই আগস্ট) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আর জি কর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। পরে সাংবাদিকদের বলেন, দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। যদিও পুলিশ ইতিমধ্যে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গত শুক্রবার (৯ই আগস্ট) উত্তর কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাকক্ষে শিক্ষানবিশ এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন বলছে, ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সঞ্জয় রায় নামের কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে। শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে গত সাত দিন কলকাতাসহ রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকদের আন্দোলন চলছে। প্রকৃত অপরাধীদের প্রকাশ্যে এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠেছে।