সরকার সিদ্ধান্ত নিলে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৩:২২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা বাড়ছে। এখন তাঁকে দেশে ফেরত পাঠাতে ভারতকে বলবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তবর্তীকালীন সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হচ্ছে। এখন স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) দেশে ফেরত দিতে ভারতকে আমাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করতে হবে।’
এটি ভারত সরকারের জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভারত এটি জানে এবং আমি নিশ্চিত, তারা এ বিষয়ের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখবে।’
রয়টার্স জানিয়েছে, এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য চাওয়া হলে তারা তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর দেয়নি।
ছাত্রসহ প্রায় ৩০০ মানুষ নিহতের পর নজিরবিহীন গণবিক্ষোভে মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার জ্যোষ্ঠ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সেলের উপ–পরিচালক আতাউর রাহমান বলেন, ‘বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত হত্যা, নির্যাতন ও গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১০জনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে।’
এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ভারত থেকে দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বিক্ষোভ চলাকালে সংঘটিত হত্যা ও ভাঙচুরের তদন্ত দাবি করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন একজন অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর গত সপ্তাহে তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন।