বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়ছেন নাজমুল হাসান পাপন?
- আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। সে ঘটনার রেশে দেশের অনেক বড় বড় জায়গাতেও পালাবদল এসেছে। একই দাবি উঠছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) ঘিরেও।
কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, বিসিবি ভবনের বাইরে বর্তমান বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ অন্যদের পদত্যাগ ও নানা দাবিতে আন্দোলন করছেন অনেকে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একপ্রকার আড়ালে চলে গেছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর আগে দেশীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি দেশ ছেড়েছেন। বর্তমান পরিচালকদের অনেকেও জনসম্মুখে আসেননি। আইসিসির নিয়মের কারণে বিসিবিতে হস্তক্ষেপও করতে পারছে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে গত বুধবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন বিসিবির কয়েকজন পরিচালক। দেশীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেখানে একজন পরিচালক অন্যদের জানিয়েছেন,তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে নাজমুল হাসান পাপনের। বর্তমান প্রশাসনকে যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সাহায্য করতে রাজি হয়েছেন তিনি। জানা গেছে, সেক্ষেত্রে তাঁকে পদত্যাগ করতে হলে বিসিবি সভাপতি সেটাও করতে রাজি আছেন।
এর আগে ২০১২ সালে সরকার মনোনীত সভাপতি হিসেবে বিবিবির দায়িত্ব নেন পাপন। এরপর ২০১৩ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।
নাজমুল হাসান যদি দেশের বাইরেই থাকেন এই মুহূর্তে, সে ক্ষেত্রে দেশের বাইরে থেকেও ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠাতে পারবেন। তবে সেটি কার্যকর হবে বোর্ড সভার মাধ্যমে। তিনি পদত্যাগপত্র পাঠালে এ সভা ডাকা হবে। বোর্ড সভাও আবার ডাকতে হবে তাঁকেই। পরিচালকদের মধ্য থেকে তখন একজনকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
বিসিবির এক পরিচালক দেশীয় এক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সভার কোরাম পূর্ণ করতে অন্তত নয়জন পরিচালকের উপস্থিতি প্রয়োজন। বর্তমান সময়েও যা সম্ভব। আর কোনো পরিচালক যদি পরপর তিন বোর্ডসভায় উপস্থিত না থাকেন, তবে তাঁর পদ বাতিল হয়ে যায়।
নাজমুল হাসান পদত্যাগ করলেও পুরো বোর্ড একসঙ্গে ভাঙছে না, এমন পরিকল্পনায় এগোচ্ছেন পরিচালকেরা। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলে একযোগে সব পরিচালক পদত্যাগ করতে রাজি বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সভায়। তবে পুরো বোর্ড একসঙ্গে ভেঙে গেলে আইসিসি অথবা ক্রিকেট বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। তখন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বাংলাদেশের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন। বিশ্বকাপের ভেন্যুর ব্যাপারে আইসিসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আগামী ২০ আগস্ট।