ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে ৮ দিনের রিমান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে ৮ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। নিউমার্কেট থানায় রুজুকৃত মামলার প্রেক্ষিতে সিএমএম আদালত নেয়া হলে তাকে এই রিমান্ড দেয়া হয়। আজ (শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ) বিকেলে রাজধানীর সিএমএম কোর্টে এই আদেশ দেয়া হয়।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যতবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল তা জিয়াউল আহসানের নির্দেশে বন্ধ করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাত ৯টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায় জিয়াউল আহসানের নির্দেশে। টানা পাঁচদিন সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল ১০ দিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মতো সেবা বন্ধ ছিল ১৩ দিন।

সূত্র জানায়, ১৭ জুলাই থেকে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনাগুলো মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সংস্থা এনটিএমসি থেকেই আসতে থাকে। এছাড়া জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অসংখ্য ব্যক্তিকে গুম করার অভিযোগও রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দিন ৬ আগস্ট জিয়াউল আহসানকে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনি র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালকও ছিলেন।

নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মহা. আশরাফুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা দোকান কর্মচারী হত্যা মামলায় (৮ নম্বর মামলা) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৬ আগস্ট মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওইদিন এ তথ্য জানায়।

এর আগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে মেজর জেনারেলে পদোন্নতি পান জিয়াউল আহসান। ২১ জুলাই তাকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়।

দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত জিয়াউল আহসান ২০২২ সাল থেকে এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক ছিলেন।

এর আগে তিনি ২০০৯ সালের র‌্যাব-২ এর সহঅধিনায়ক হন। একই বছর তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান এবং র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক নিযুক্ত হন। সে সময় থেকেই তাকে নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে ৮ দিনের রিমান্ড

আপডেট সময় : ০৫:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

আলোচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানকে ৮ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। নিউমার্কেট থানায় রুজুকৃত মামলার প্রেক্ষিতে সিএমএম আদালত নেয়া হলে তাকে এই রিমান্ড দেয়া হয়। আজ (শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ) বিকেলে রাজধানীর সিএমএম কোর্টে এই আদেশ দেয়া হয়।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যতবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল তা জিয়াউল আহসানের নির্দেশে বন্ধ করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাত ৯টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায় জিয়াউল আহসানের নির্দেশে। টানা পাঁচদিন সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল ১০ দিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মতো সেবা বন্ধ ছিল ১৩ দিন।

সূত্র জানায়, ১৭ জুলাই থেকে ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশনাগুলো মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সংস্থা এনটিএমসি থেকেই আসতে থাকে। এছাড়া জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অসংখ্য ব্যক্তিকে গুম করার অভিযোগও রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দিন ৬ আগস্ট জিয়াউল আহসানকে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনি র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালকও ছিলেন।

নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মহা. আশরাফুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা দোকান কর্মচারী হত্যা মামলায় (৮ নম্বর মামলা) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৬ আগস্ট মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওইদিন এ তথ্য জানায়।

এর আগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে মেজর জেনারেলে পদোন্নতি পান জিয়াউল আহসান। ২১ জুলাই তাকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়।

দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত জিয়াউল আহসান ২০২২ সাল থেকে এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক ছিলেন।

এর আগে তিনি ২০০৯ সালের র‌্যাব-২ এর সহঅধিনায়ক হন। একই বছর তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান এবং র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক নিযুক্ত হন। সে সময় থেকেই তাকে নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়।