০৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের ‘নতুন শর্ত’ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সময় ইসরায়েল যে ‘নতুন শর্ত’ দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা ইসরায়েলের নতুন শর্তগুলো মানবেন না।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলের নতুন শর্তের মধ্যে রয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময়ে মিশর সীমান্তে গাজার অভ্যন্তরে সৈন্য রাখা। কিন্তু হামাসের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের এ শর্ত মানবে না। তারা গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি চায়।

হামাসের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হবে। মিশর সীমান্তে বা অন্য কোনো সীমান্তেও ইসরায়েলি সৈন্য রাখা যাবে না। এ ছাড়া যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদেরও স্বাভাবিকভাবে গাজায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারের দোহায় চলা বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা আবারও আগামী সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসবেন।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাব নিয়ে কাজ করবে।

এদিকে মধ্যস্থতাকারীদের বরাত দিয়ে হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশক বলেছেন, ইসরায়েল আগের আলোচনায় ‘যাতে সম্মত হয়েছিল তা মেনে চলেনি’।

প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সর্বশেষ আলোচনা কয়েক মাসের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা। পরের সপ্তাহে কায়রোতে আবারও মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনায় বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে দোহায় আলোচনায় বসেন মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর নেতারা। তবে তার আগমুহূর্তে এক হামাস নেতা জানান, চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ চেয়েছিল হামাস। ইসরায়েলকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দেওয়ার জন্য যে আলোচনা, তাতে তারা অংশ নেবেন না।

গত মে মাসের শেষ দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার ওপর ভিত্তি করেই যুদ্ধবিরতির রোডম্যাপটি হওয়া উচিত এবং ইসরায়েলকে নতুন শর্ত যোগ করার জন্য অভিযুক্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামাসই শর্ত পরিবর্তনের দাবি করেছে। এ অবস্থাতে দোহায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসকে ছাড়াই দ্বিতীয় দিনের বৈঠক হয় শুক্রবার।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় হামাসকে ধ্বংস করার জন্য অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১২০০– এর মতো। ওই সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস। আর গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি। যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক বার চেষ্টা হয়েছে যুদ্ধবিরতি নিয়ে স্থায়ী চুক্তির। মাঝে সাময়িক যুদ্ধবিরতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে কার্যত কোনো সমাধান আসেনি।

ইসরায়েলের ‘নতুন শর্ত’ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস

আপডেট : ০২:০৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার সময় ইসরায়েল যে ‘নতুন শর্ত’ দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা ইসরায়েলের নতুন শর্তগুলো মানবেন না।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলের নতুন শর্তের মধ্যে রয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময়ে মিশর সীমান্তে গাজার অভ্যন্তরে সৈন্য রাখা। কিন্তু হামাসের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের এ শর্ত মানবে না। তারা গাজায় সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি চায়।

হামাসের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হবে। মিশর সীমান্তে বা অন্য কোনো সীমান্তেও ইসরায়েলি সৈন্য রাখা যাবে না। এ ছাড়া যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদেরও স্বাভাবিকভাবে গাজায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারের দোহায় চলা বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা আবারও আগামী সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসবেন।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাব নিয়ে কাজ করবে।

এদিকে মধ্যস্থতাকারীদের বরাত দিয়ে হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশক বলেছেন, ইসরায়েল আগের আলোচনায় ‘যাতে সম্মত হয়েছিল তা মেনে চলেনি’।

প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সর্বশেষ আলোচনা কয়েক মাসের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা। পরের সপ্তাহে কায়রোতে আবারও মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনায় বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে দোহায় আলোচনায় বসেন মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর নেতারা। তবে তার আগমুহূর্তে এক হামাস নেতা জানান, চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ চেয়েছিল হামাস। ইসরায়েলকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দেওয়ার জন্য যে আলোচনা, তাতে তারা অংশ নেবেন না।

গত মে মাসের শেষ দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার ওপর ভিত্তি করেই যুদ্ধবিরতির রোডম্যাপটি হওয়া উচিত এবং ইসরায়েলকে নতুন শর্ত যোগ করার জন্য অভিযুক্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামাসই শর্ত পরিবর্তনের দাবি করেছে। এ অবস্থাতে দোহায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসকে ছাড়াই দ্বিতীয় দিনের বৈঠক হয় শুক্রবার।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় হামাসকে ধ্বংস করার জন্য অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১২০০– এর মতো। ওই সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস। আর গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি। যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক বার চেষ্টা হয়েছে যুদ্ধবিরতি নিয়ে স্থায়ী চুক্তির। মাঝে সাময়িক যুদ্ধবিরতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে কার্যত কোনো সমাধান আসেনি।