স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, কাজ করতে পারলে করবেন, আর না হয় অপারগ হলে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই তার দেওয়া বক্তব্য ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়। এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার তাকে ওই মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের।
নতুন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পাওয়া ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে আজ শনিবার ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমার যতটুকু করার সাধ্য ছিল, করে আসছি। এখন যেখানে দিয়েছে, সেখানে কাজ করতে পারলে করব, আর অপারগ হলে চলে যাবে।’
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শপথ নেন সাখাওয়াত হোসেন। পরে ১২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আওয়ামী লীগকে নতুন মুখ নিয়ে দল গোছানো পরামর্শ দেন। ভারতে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরারও পরামর্শ দেন এই উপদেষ্টা।
তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিএনপির সহযোগী সংগঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনার ছেলে ও তার সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের একটি বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করতে বলেছেন। অথচ তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসবের মধ্যেই এম সাখাওয়াত হোসেনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে তার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে ওইদিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শপথ নেন এম সাখাওয়াত হোসেন। শুক্রবার তাকে স্বরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি উপদেষ্টাদের দায়িত্বও পুনর্বণ্টন করা হয়।