পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল পুরো ভারত। গতকাল শুক্রবারও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কয়েক শ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। এর প্রতিবাদে এবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশটির চিকিৎসকদের সংগঠন দ্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ লাখের বেশি সদস্য রয়েছে আইএমএর। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে। এর ফলে গোটা দেশে স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আইএমএ জানিয়েছে, আজ কেবল জরুরি পরিষেবা বিভাগ চালু থাকবে। ওপিডিসহ বন্ধ থাকবে বাকি সব কিছুই। যে ধরনের অস্ত্রোপচার পরে করলেও হবে, সেগুলো আজ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা বিমানবন্দরের মতো কড়া করার দাবি তুলেছে।
এছাড়াও প্রতিটি হাসপাতালকে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি, নিরাপত্তরক্ষী বাড়ানো, চিকিৎসকদের বিশ্রামের জন্য সুরক্ষিত স্থান নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে ফসলের ন্যায্যমূল্যসহ বিভিন্ন দাবিতে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল ভারতে। এবার চিকিৎসক ধর্মঘটে অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে দেশটিতে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরুসহ বিভিন্ন বড় শহরে।
এদিকে, আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় তাঁর সহকর্মীরাও জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন ভুক্তভোগীর বাবা-মা। হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক এবং ইন্টার্নের নামও তাঁরা সিবিআইকে জানিয়েছেন। এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
গত ৯ আগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।