পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলে ভারত সফর করবে বাংলাদেশ দল। সেখানে সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও অক্টোবরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। সূচি অনুযায়ী আগামী ৬ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ধর্মশালায় হওয়ার কথা থাকলেও ড্রেসিংরুম সংস্কারের কাজ চলছে বলে সে ম্যাচ নিয়ে যাওয়া হয়েছে গোয়ালিয়রে।
১৪ বছর পর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে যাচ্ছে গোয়ালিয়রে। কোথায় এ নিয়ে উচ্ছ্বাস হওয়ার কথা, উল্টো ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন শঙ্কার খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য প্রিন্ট পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছে, গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ আয়োজনের বিরোধিতা করছে হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।
হিন্দু মহাসভা ম্যাচটি বাতিলের আবেদন জানিয়েছে। এরপরেও ম্যাচটি আয়োজনের চেষ্টা চালালে ভেন্যুতে হামলার হুমকি দিয়েছে তারা। হিন্দু মহাসভার সহ-সভাপতি ডা: জয়বীর ভরদ্বাজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ডানপন্থি সংগঠনটি ম্যাচটি বাতিলের সব ধরনের চেষ্টা চালাবে।
জয়বীরের ভাষ্য, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে। মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তাই গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দু মহাসভা।’
তিনি আরও জানান, শান্তি বজায় রাখতে চাইলে ম্যাচটি বাতিল করা উচিত। নয়তো দেশে অশান্তি ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি ম্যাচটি বাতিল করার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদীর হস্তক্ষেপও চান তারা। কোনো কারণে ম্যাচটি হলে মহাসভার কর্মীরা ভেন্যুর ক্ষতি করার হুমকিও দেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। সেদিন ও এর পরের কয়েকদিন দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থাপনা ও অনেক আবাসস্থলে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর অধিকাংশ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হলেও ভারতীয় অনেক সংবাদমাধ্যম ব্যাপারটিকে সংখ্যালঘু বা হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বলে তাদের প্রতিবেদনগুলো উল্লেখ করেছে।