২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী এ মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে মতিঝিল থানা-পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবুল কালাম আজাদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, এনএসআইয়ের প্রধান জিয়াউল হাসান, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহবুব খন্দকার, তৎকালীন র্যাব প্রধান এ কে এম শহিদুল হক, এসব প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিসি বিপ্লব কুমার, মতিঝিল বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ নাজমুল আলম, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক, ফরমান আলী বিশ্বাস, হামদাদ গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর মেজর ইকবাল, তৎকালীন ওয়ার্ড কমিশনার মনসুর আহমেদ, ইমরান, মতিঝিল থানার ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল হক হিরণ, মোহাম্মদ সাঈদ কমিশনার, আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার ডলি, মমতাজ পারভীন, আনিসুর রহমান সরকার, আলমগীর হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ এমদাদুল হক ও শেখ শাহে আলম তালুকদার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ব্লগাররা ধর্মীয় অবমাননা ও হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে কটূক্তি এবং বাজে মন্তব্য লেখালেখির প্রতিবাদে হেফাজত ইসলাম ১৩ দফা দাবি সরকারের কাছে জানায়। সরকার দাবি না মানার কারণে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় অবস্থান নেয়। আসামিরা যোগসাজশে ৫ মে রাত ১১টা থেকে ৬ মে ভোর রাত ৪টা পর্যন্ত রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে শেখ হাসিনার মদদে অন্যান্য আসামিরা যোগসাজশে পুলিশ ও আর্মি সদস্যরা মিলে নিরীহ মাদ্রাসার ছাত্র ও পথচারী লোকদের ওপর গণহত্যা চালায়। হত্যা করে সরকারি সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি এনে লাশগুলো অজ্ঞাত স্থানে গুম করে ফেলে।