সরকারি ব্যয় কমানো ও রাষ্ট্রীয় সেবাদান পদ্ধতি আরও সহজ করতে ২৮টি দপ্তর বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার। এছাড়া ৫টি মন্ত্রণালয়ের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করা এবং এসএমই খাতকে নিজের অধীনে রেখেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এতে শূন্য হয়ে যাচ্ছে দেড় লাখের বেশি সরকারি চাকরি।
পাকিস্তানে বিভিন্ন খাতে চলছে বহুমাত্রিক সংকট। বিশেষ করে দেশটির অর্থনীতি ধুঁকছে বহু দিন যাবৎ। আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতিতে দিশেহারা বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ঘাটতির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। ডলারের বিপরীতে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে পাকিস্তানি রুপি। সরকারি-বেসরকারি খাতে দেখা দিয়েছে চাকরি সংকট।
এমন অবস্থায়, সরকারি ব্যয় কমিয়ে অর্থনীতিকে দাঁড় করাতে মরিয়া পাকিস্তান সরকার। সংস্কার আনা হয়েছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে। সম্প্রতি সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের উদ্দেশ্যে একটি কমিটি গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। সরকারি খরচের বোঝা কমিয়ে জনগণকে উন্নত সেবাদানের লক্ষ্যে কাজ করছে এই কমিটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে ৫টি মন্ত্রণালয়ের ২৮ দপ্তরে সংস্কার আনা হয়েছে। বিলুপ্ত করা হয়েছে কাশ্মীর ও গিলগিত-বালতিস্তান-বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রাষ্ট্র ও ফ্রন্টিয়ার রিজিয়ন-বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে।
এছাড়া ৫টি মন্ত্রণালয়ের আরও ১২টি প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করার প্রস্তাব করা হয়। কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জনগণকে সরকারি সেবা দিতে সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। পাশাপাশি কয়েকটি দপ্তর সরকারে জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেবল তাদের ব্যাপারেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান পাক প্রধানমন্ত্রী।
সংস্কার কমিটির এমন সিদ্ধান্তে ঝুঁকির মুখে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ সরকারি কর্মকর্তার-কর্মচারির চাকরি। সেইসঙ্গে এক থেকে ১৬তম গ্রেডের বিভিন্ন পদ পর্যায়ক্রমে বাদ দেয়ার সুপারিশও করা হয়। এসব পদে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করার প্রস্তাব দেয় সংস্কার কমিটি।
স্থানীয় ব্যবসার উন্নতি ও বিদেশি বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে ব্যবসা-বান্ধব নীতি গ্রহণ করেছেন শেহবাজ শরীফ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে নিজের তত্ত্বাবধানে রেখেছেন তিনি। এই খাতের ব্যবসাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।