ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় দোহায় বসতে প্রস্তুত ছিল ইউক্রেন–রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি মাসেই কাতারের রাজধানী দোহায় ‘যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী ছিল কাতার। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোর ওপর ধ্বংসাত্মক হামলা বন্ধের উদ্দেশে দুই দেশ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছিল। কারণ এ ধরনের হামলায় দুই দেশই আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়নি রাশিয়ার পশ্চিম কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন বাহিনীর আকস্মিক হামলা শুরু করার কারণে।

উভয় দেশের জন্যই কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত রাশিয়া কুরস্ক, যেখানে গত সপ্তাহে ইউক্রেন বাহিনী হামলা জোরদার করেছে এবং এই অঞ্চলের একটি শহর দখল করার পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করেছে। গককাল শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, গত ১১ দিন ধরে ইউক্রেনের সেনাদের অভিযানের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে কুরস্ক। সেখানে আমাদের বাহিনী তাদের অবস্থান সুসংহত করেছে।

একজন কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, কুরস্কে ইউক্রেন বাহিনীর হামলা অব্যাহত রাখার কারণে রুশ কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতির আলোচনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। তাঁরা কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছেন। তবে রুশ কর্মকর্তারা আলোচনা বাতিল করার আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি। তাঁরা তাঁদের অবস্থান পুনর্মূল্যায়নের জন্য সময় চেয়েছেন।

এর আগে তুরস্ক ও জাতিসংঘ যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগসহ ‘গোপন আলোচনার’ চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয় পক্ষের অব্যাহত হামলার কারণে কোনো উদ্যোগই শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনও। তবে নানা তৎপরতার মধ্যেও যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় দোহায় বসতে প্রস্তুত ছিল ইউক্রেন–রাশিয়া

আপডেট সময় : ০১:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

চলতি মাসেই কাতারের রাজধানী দোহায় ‘যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী ছিল কাতার। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোর ওপর ধ্বংসাত্মক হামলা বন্ধের উদ্দেশে দুই দেশ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছিল। কারণ এ ধরনের হামলায় দুই দেশই আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়নি রাশিয়ার পশ্চিম কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন বাহিনীর আকস্মিক হামলা শুরু করার কারণে।

উভয় দেশের জন্যই কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত রাশিয়া কুরস্ক, যেখানে গত সপ্তাহে ইউক্রেন বাহিনী হামলা জোরদার করেছে এবং এই অঞ্চলের একটি শহর দখল করার পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করেছে। গককাল শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, গত ১১ দিন ধরে ইউক্রেনের সেনাদের অভিযানের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে কুরস্ক। সেখানে আমাদের বাহিনী তাদের অবস্থান সুসংহত করেছে।

একজন কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, কুরস্কে ইউক্রেন বাহিনীর হামলা অব্যাহত রাখার কারণে রুশ কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতির আলোচনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। তাঁরা কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছেন। তবে রুশ কর্মকর্তারা আলোচনা বাতিল করার আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি। তাঁরা তাঁদের অবস্থান পুনর্মূল্যায়নের জন্য সময় চেয়েছেন।

এর আগে তুরস্ক ও জাতিসংঘ যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগসহ ‘গোপন আলোচনার’ চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয় পক্ষের অব্যাহত হামলার কারণে কোনো উদ্যোগই শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনও। তবে নানা তৎপরতার মধ্যেও যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।