পুতিনের সঙ্গে ‘কোলাকুলি’ নিয়ে সমালোচনা, ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি
- আপডেট সময় : ০১:২৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, আগামী ২৩ আগস্ট ইউক্রেনে সফরের কথা রয়েছে তাঁর। এর আগে সম্প্রতি রাশিয়া সফর করেন এই নেতা। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলিঙ্গন করতে দেখা যায় তাঁকে। এ নিয়ে সমালোচনা করে কিয়েভ। এই সমালোচনার মুখেই এবার ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর গত কয়েক মাস আগে প্রথমবার রাশিয়া যান নরেন্দ্র মোদি। এরপর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সমালোচনা শুরু হয়। এবার সেই ইউক্রেনেই সফর করছেন মোদি। এমন এক সময়ে মোদি ইউক্রেনে যাচ্ছেন যখন রাশিয়ায় প্রবেশ করে সেখানে তুমুল লড়াই করছে দেশটির সেনারা।
ইউক্রেন সংঘাতের প্রথম থেকেই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে, এভাবে হামলা চালানোর জন্য তিনি একবারও রাশিয়ার নিন্দা বা সমালোচনা করেননি। এমনকি জাতিসংঘে কোনো প্রস্তাবনা উঠলে তাতে অংশ নেয়নি ভারত। এমনটাই বলছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংঘাতের পর রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিতে শুরু করে পশ্চিমারা। তবে, সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে এই রাশিয়াকে বেছে নেয় ভারত। দেশটি থেকে সরঞ্জাম নিতে থাকে। এমনকি জ্বালানি তেল কিনতেও ‘ডিসকাউন্ট’ পায়। আর তাতে করে রাশিয়া অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পায়।
এর মধ্যেই সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিতে আগামী ২৩ আগস্ট ইউক্রেন সফর করছেন মোদি। তাতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।
এর আগে মোদি পোল্যান্ডে যাবেন। এর মধ্য দিয়ে গত ৪৫ বছরে এই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী পোল্যান্ড যাচ্ছেন।
গত জুলাইয়ে রাশিয়া সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের বেশকিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে। তাতে দেখা যায়, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলিঙ্গন করছেন মোদি। চা খেতে খেতে আলাপ করছেন দুজন। এ ছাড়া একটি ইলেকট্রিক গাড়িতে ঘুরেন, দেখেন ঘৌড়দৌঁড়।
মোদির এসব কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, এই বৈঠক তাঁকে হতাশ করেছে। এই কার্যক্রম শান্তির পরিপন্থী।