ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শিবির নেতা নিহতের ঘটনায় লিটনসহ ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:২১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী প্রতিনিধিজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা রায়হান আলী হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১১টার দিকে নিহত রায়হান আলীর ভাই রানা ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন,

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, নগরীর চন্ডিপুর এলাকার যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রুবেল সহ ৫০ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, মামলায় সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে এক হাজার ২০০ জনকে। মামলায় সাবেক সিটি মেয়র ছাড়াও আটজন কাউন্সিলরকেও আসামি করা হয়েছে।

নিহত রায়হান আলী রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি পুঠিয়া উপজেলার মঙ্গলপাড়া গ্রামের মুসলেম আলীর ছেলে। রায়হান রাজশাহী কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করেছিলেন।

গত ৫ আগস্ট সোয়া ১টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া কল্পনা হল মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে সময় গুলিবিদ্ধ হয় রায়হান। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় মারা যান।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সাহেববাজারের দিকে অগ্রসর হলে তৎকালীন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও ডাবলু সরকারের নেতৃত্বে রুবেল, রাজীব, রনিসহ অনেক আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতার উপর গুলি করে। তাদের আক্রমণে মারুফ মর্তুজা, ইব্রাহীম আলী, মারুফ আল হাসান, মেহেদী হাসানসহ অনেক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলে রায়হান আলী আহতদের চিকিৎসা জন্য উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়। তখন আসামি জহিরুল হক রুবেল তার হাতে থাকা রিভলভার দিয়ে রায়হান আলীর মাথায় গুলি করে। আসামিদের নারকীয় তা-বে স্থানীয় লোকজন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসতে পারেননি। পরে রাজশাহী মেডিকেল নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে গত ৮ আগস্ট রায়হান আলী মারা যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিবির নেতা নিহতের ঘটনায় লিটনসহ ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০২:২১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

রাজশাহী প্রতিনিধিজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা রায়হান আলী হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১১টার দিকে নিহত রায়হান আলীর ভাই রানা ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন,

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, নগরীর চন্ডিপুর এলাকার যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রুবেল সহ ৫০ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, মামলায় সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে এক হাজার ২০০ জনকে। মামলায় সাবেক সিটি মেয়র ছাড়াও আটজন কাউন্সিলরকেও আসামি করা হয়েছে।

নিহত রায়হান আলী রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি পুঠিয়া উপজেলার মঙ্গলপাড়া গ্রামের মুসলেম আলীর ছেলে। রায়হান রাজশাহী কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করেছিলেন।

গত ৫ আগস্ট সোয়া ১টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া কল্পনা হল মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে সময় গুলিবিদ্ধ হয় রায়হান। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় মারা যান।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সাহেববাজারের দিকে অগ্রসর হলে তৎকালীন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও ডাবলু সরকারের নেতৃত্বে রুবেল, রাজীব, রনিসহ অনেক আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতার উপর গুলি করে। তাদের আক্রমণে মারুফ মর্তুজা, ইব্রাহীম আলী, মারুফ আল হাসান, মেহেদী হাসানসহ অনেক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলে রায়হান আলী আহতদের চিকিৎসা জন্য উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়। তখন আসামি জহিরুল হক রুবেল তার হাতে থাকা রিভলভার দিয়ে রায়হান আলীর মাথায় গুলি করে। আসামিদের নারকীয় তা-বে স্থানীয় লোকজন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসতে পারেননি। পরে রাজশাহী মেডিকেল নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে গত ৮ আগস্ট রায়হান আলী মারা যান।