বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। আজ বুধবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে বিসিবি আয়োজিত পরিচালকদের জরুরি সভার পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এতে দেশীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থায় সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ এক যুগের পথচলা শেষ হলো নাজমুল হাসানের।
এর আগে সরকার মনোনীত সভাপতি হিসেবে ২০১২ সালে প্রথমবার বিসিবির দায়িত্ব নেন নাজমুল। পরের বছর হয়ে যান নির্বাচিত সভাপতি। সেই থেকে টানা তিন মেয়াদে বিসিবির নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।
বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি জাতীয় সংসদের একজন নির্বাচিত সাংসদও ছিলেন নাজুমল হাসান পাপন। ২০০৯ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের এমপি ছিলেন তিনি। গত জানুয়ারিতে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। সমানতালে চালিয়ে যান বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব।
তাঁর নেতৃত্বাধীন বিসিবির বর্তমান পরিচলনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের অক্টোবের। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চেয়ার ছাড়তে হলো তাঁকে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আগের সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এতে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও হাতছাড়া হয় নাজমুল হাসান পাপনের। এবার বিসিবি সভাপতির পদ থেকেও সরে দাঁড়ালেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ে আজকের সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়ার কথা ছিল নাজমুল হাসানের। সেখানে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর আগে বিসিবির এক পরিচালককে পদত্যাগের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
নাজমুল হাসান পাপনের আগে গত সোমবার পদত্যাগ করেছেন বিসিবির জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত পরিচালক জালাল ইউনুস। আজকের জরুরি সভাতেও কয়েকজন পরিচালক পদত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল।