ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বৃষ্টি চলবে, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আভাস

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসলে বন্যা পরিস্থিতি প্রথমে অপরিবর্তিত এবং পরবর্তীতে উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র । আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান এ তথ্য জানান।

তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। পূর্বাঞ্চলীয় জেলা, হবিগঞ্জ , কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

উদয় রায়হান জানান, হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ইতিহাসের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এছাড়া এই অঞ্চলের অন্যান্য নদীর পানি গত সতের বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নতুন করে আরো জেলা ও অঞ্চলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীসমূহের পানি কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে।

সেই সাথে পূর্বাভাস আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে, এ সময় এ অঞ্চলের মুহরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহরি ও গোমতী ইত্যাদি নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে।

এছাড়াও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেণী ও চট্টগ্রাম জেলার মুহরী ও হালদা নদীর পানি সমতল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। সেই সাথে পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা জেলার গোমতী নদীর পানি সমতল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল। অভিযোগ উঠেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতেও ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্যা গোমতির নদীর ওপর নির্মিত ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বৃষ্টি চলবে, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আভাস

আপডেট সময় : ০২:১৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসলে বন্যা পরিস্থিতি প্রথমে অপরিবর্তিত এবং পরবর্তীতে উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র । আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান এ তথ্য জানান।

তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। পূর্বাঞ্চলীয় জেলা, হবিগঞ্জ , কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

উদয় রায়হান জানান, হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি ইতিহাসের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এছাড়া এই অঞ্চলের অন্যান্য নদীর পানি গত সতের বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নতুন করে আরো জেলা ও অঞ্চলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীসমূহের পানি কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে।

সেই সাথে পূর্বাভাস আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে, এ সময় এ অঞ্চলের মুহরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহরি ও গোমতী ইত্যাদি নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে।

এছাড়াও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেণী ও চট্টগ্রাম জেলার মুহরী ও হালদা নদীর পানি সমতল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। সেই সাথে পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা জেলার গোমতী নদীর পানি সমতল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল। অভিযোগ উঠেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতেও ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্যা গোমতির নদীর ওপর নির্মিত ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে হয়নি।