নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলি ও ট্যাটাবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে উপজেলার চরাঞ্চলের শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সায়দাবাদ গ্রামের শাহীন মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (১৬), ইসমাইল ব্যাপারীর ছেলে আমির হোসেন (৬৫) ও বাদল মিয়া (৪৫) এবং বাঘাইকান্দি গ্রামের সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫) ও আব্বাস আলীর ছেলে আনিস মিয়া (৩০)। নিহতরা স্থানীয় সাহেববাড়ি পক্ষের লোক। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এরই অংশ হিসেবে গতকাল রাত থেকেই দু-পক্ষের মধ্যে টেঁটা ও গোলাগুলি বর্ষণসহ সংঘর্ষের ঘটনা চলতে থাকে। সকালে গোলাগুলির এক পর্যায়ে দু'পক্ষের পাঁচজন নিহত হয়। তাছাড়া গুরুত্বর আহত হয় বেশ কয়েকজন।
এদিকে, ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রন নিতে কাজ করছে পুলিশ এমনটি জানিয়েছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন পলাশ।
নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামের আইল্লের বাড়ির হানিফ মাস্টার ও সায়দাবাদ বালুচর সাহেব বাড়ির নোয়াব মিয়ার দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বাগ্বিতণ্ডার জেরে গতকাল রাত ১০টা থেকে রাতভর এবং আজ সকালে দফায় দফায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এতে গুলি ও ট্যাটাবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রঞ্জন কুমার বর্মণ বলেন, ট্যাটা ও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত চারজনের লাশ হাসপাতালে রয়েছে। আহত ১৯ জন এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।