দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সীমান্ত জেলা কুমিল্লা, ফেনী, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষদের উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংখ্যা কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদরের উদ্ধারকারী দল বিজিবির নৌকা ও ট্রলারের মাধ্যমে বন্যাদুর্গত এলাকার ৮ শতাধিক অসহায় মানুষকে উদ্ধার করে জয় লস্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জয় লস্করপুর উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃত জনসাধারণের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও জরুরী শুকনা খাবারও বিতরণ করছে বিজিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অধীনস্থ বিবির বাজার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ গোমতী নদীর তীরবর্তী বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে বিজিবি। পাশাপাশি বিজিবির উদ্যোগে তাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া গোমতী নদীর তীরে ফাটল দেখা দিলে নদীর ভাঙন রোধে স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ নির্মাণ করেন বিজিবি সদস্যরা।
বিজিবির রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি) এর অধীনস্থ আধারমানিক, নলুয়াটিলা, লাচারীপাড়া, লক্ষ্মীছড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ মোট ২৯৬টি পরিবারের ১৫৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে বিজিবির উদ্ধারকারী দল। এ ছাড়া দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০টি অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বিজিবির ছোট হরিণা ব্যাটালিয়ন (১২ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত ৫০টি অসহায় পরিবারে মাঝে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে চাউল, ডাল, তৈল, চিনি ও আলু বিতরণ করেছে।
বিজিবির শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কুরমা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যার্তদের উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকার ২ শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারও বিতরণ করা হয়েছে।