০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ বছরে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে সিরাজগঞ্জের এমপি হেনরীর

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:২০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৯ দেখেছেন

নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী গত ৫ বছরে সবচেয়ে বেশি ৪৯৭ গুণ সম্পদ বেড়েছে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর। এছাড়াও রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে শূন্য থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন অনেক সংসদ সদস্য। অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ৫ সংসদ সদস্যকে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা জান্নাত আরা হেনরী ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে হেরে যান। নির্বাচনী হলফনামায় তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা। ২০০৯ সালে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তিনি সম্পদ দেখান ৬৬ কোটি টাকার।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ময়মনসিংহ-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন তুহিন বার্ষিক আয় দেখান ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ১০ বছরে ৩১১ গুণ বেড়ে তাঁর বার্ষিক আয় এখন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর বার্ষিক আয় বেড়েছে আড়াই শ গুণ। ৫ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে এখন ৬ কোটি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় যশোর-৩ এর সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ তাঁর বার্ষিক আয় দেখান ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি টাকায়।

শেখ হাসিনার আত্মীয় মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূর আলম চৌধুরী ৭ বার নির্বাচিত হন। শেষ ৫ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৮৪ গুণ। পদ্মা সেতুর পরামর্শকের কাজে তিনি ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শুধু হলফনামা নিয়ে কাজ করলে চলবে না। কারণ হলফনামার চেয়ে বহুগুণ বেশি অর্থ পাচার বা লুকিয়ে রেখেছেন অনেক সংসদ সদস্য।

এদিকে, নির্বাচনের সময় হলফনামা ধরে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে আর্থিক নানা অভিযোগ উঠলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দুদক। এবার প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন ইফতেখারুজ্জামান।

যুদ্ধ ও সংঘাতে মানুষের অধিকার খর্ব হচ্ছে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

৫ বছরে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে সিরাজগঞ্জের এমপি হেনরীর

আপডেট : ০১:২০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী গত ৫ বছরে সবচেয়ে বেশি ৪৯৭ গুণ সম্পদ বেড়েছে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর। এছাড়াও রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে শূন্য থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন অনেক সংসদ সদস্য। অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ৫ সংসদ সদস্যকে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা জান্নাত আরা হেনরী ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে হেরে যান। নির্বাচনী হলফনামায় তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা। ২০০৯ সালে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তিনি সম্পদ দেখান ৬৬ কোটি টাকার।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ময়মনসিংহ-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন তুহিন বার্ষিক আয় দেখান ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ১০ বছরে ৩১১ গুণ বেড়ে তাঁর বার্ষিক আয় এখন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর বার্ষিক আয় বেড়েছে আড়াই শ গুণ। ৫ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে এখন ৬ কোটি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় যশোর-৩ এর সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ তাঁর বার্ষিক আয় দেখান ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি টাকায়।

শেখ হাসিনার আত্মীয় মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূর আলম চৌধুরী ৭ বার নির্বাচিত হন। শেষ ৫ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৮৪ গুণ। পদ্মা সেতুর পরামর্শকের কাজে তিনি ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শুধু হলফনামা নিয়ে কাজ করলে চলবে না। কারণ হলফনামার চেয়ে বহুগুণ বেশি অর্থ পাচার বা লুকিয়ে রেখেছেন অনেক সংসদ সদস্য।

এদিকে, নির্বাচনের সময় হলফনামা ধরে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে আর্থিক নানা অভিযোগ উঠলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দুদক। এবার প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন ইফতেখারুজ্জামান।