ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টানা বৃষ্টিতে ফেনী-নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্লাবিত হয়েছে দেশের আট জেলা। এর মধ্যে ফেনী ও নোয়াখালীতেই বন্যাকবলিত ১৮ লাখের বেশি মানুষ। ফেনীতে বৃষ্টি ও ঢলে নতুন করে পানি ঢুকতে শুরু করেছে সদর উপজেলায়।

এদিকে, ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলানাইয়ায় বন্যাকবলিত তিন লাখের বেশি মানুষ। পৌর শহরসহ বন্যাকবলিত তিন উপজেলায় বুধবার থেকে বন্ধ আছে বিদ্যুৎ। উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিজিবি।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন বলছে, ভারত থেকে তাদের সংবাদদাতা জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। বন্যায় সেখানে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সেখানকার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ত্রিপুরার ডম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ডম্বুর গেট খুলে দিয়েছে ভারত। ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতীর জেলা প্রশাসক তরিৎ কান্তি চাকমা তাঁর সরকারি এক্স অ্যাকাউন্টে এ কথা জানিয়েছেন।

বৃষ্টি অব্যাহত আছে নোয়াখালীতেও। জেলার ৯ উপজেলায় ১৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি। কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হওয়ায় বেড়িবাঁধের ভেতর সব গ্রাম তলিয়ে গেছে। তলিয়েছে চৌদ্দগ্রাম ও নাঙলকোটা উপজেলাও। পানিবন্দি ১০ লাখের বেশি মানুষ।

ফেনীর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা বলছেন, ১৯৮৮ সালের পর এই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়নি।

ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, ‘পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, সবার কল্পনার বাইরে। এখন অনেক মানুষ পানিতে আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড।’

ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পানিতে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘খোয়াই, ধলাই, মুহুরী, হালদা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা তা অব্যাহত থাকতে পারে।’

চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুরেও বন্যা ও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। পানি প্রবেশ করায় গতকাল থেকে বন্ধ আছে আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম।

এ ছাড়া বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েছে চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ। সিলেটেও বাড়ছে নদীর পানি। ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলে ডুবেছে আখাউড়া স্থলবন্দর। পানিবন্দি ৫২০ পরিবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

টানা বৃষ্টিতে ফেনী-নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আপডেট সময় : ০১:০৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্লাবিত হয়েছে দেশের আট জেলা। এর মধ্যে ফেনী ও নোয়াখালীতেই বন্যাকবলিত ১৮ লাখের বেশি মানুষ। ফেনীতে বৃষ্টি ও ঢলে নতুন করে পানি ঢুকতে শুরু করেছে সদর উপজেলায়।

এদিকে, ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলানাইয়ায় বন্যাকবলিত তিন লাখের বেশি মানুষ। পৌর শহরসহ বন্যাকবলিত তিন উপজেলায় বুধবার থেকে বন্ধ আছে বিদ্যুৎ। উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিজিবি।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন বলছে, ভারত থেকে তাদের সংবাদদাতা জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। বন্যায় সেখানে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সেখানকার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ত্রিপুরার ডম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ডম্বুর গেট খুলে দিয়েছে ভারত। ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতীর জেলা প্রশাসক তরিৎ কান্তি চাকমা তাঁর সরকারি এক্স অ্যাকাউন্টে এ কথা জানিয়েছেন।

বৃষ্টি অব্যাহত আছে নোয়াখালীতেও। জেলার ৯ উপজেলায় ১৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি। কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হওয়ায় বেড়িবাঁধের ভেতর সব গ্রাম তলিয়ে গেছে। তলিয়েছে চৌদ্দগ্রাম ও নাঙলকোটা উপজেলাও। পানিবন্দি ১০ লাখের বেশি মানুষ।

ফেনীর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা বলছেন, ১৯৮৮ সালের পর এই এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়নি।

ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, ‘পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, সবার কল্পনার বাইরে। এখন অনেক মানুষ পানিতে আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড।’

ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পানিতে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘খোয়াই, ধলাই, মুহুরী, হালদা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা তা অব্যাহত থাকতে পারে।’

চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুরেও বন্যা ও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। পানি প্রবেশ করায় গতকাল থেকে বন্ধ আছে আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম।

এ ছাড়া বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েছে চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ। সিলেটেও বাড়ছে নদীর পানি। ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলে ডুবেছে আখাউড়া স্থলবন্দর। পানিবন্দি ৫২০ পরিবার।