ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সাবেক এমপি মুন্না-হেনরী ও সচিব অপুর নামে তিন হত্যা মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক দুই এমপি, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ৪৬৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪৫০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে নিহত জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রঞ্জু শেখের স্ত্রী পৌরসভার মাছুমপুর মহল্লার মৌসুমি খাতুন, গয়লা মহল্লার নিহত যুবদলকর্মী আব্দুল লতিফের বোন মোছা. সালেহা বেগম ও একই মহল্লার নিহত সুমন শেখের বাবা গঞ্জের আলী শেখ বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় পৃথকভাবে মামলাগুলো করেন।

প্রতিটি মামলায় সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সবগুলো মামলায় আসামি করা হয়েছে- সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সদরের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনসহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। তিনটি মামলায় অজ্ঞাতসহ মোট ৯১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নাম আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দানিউল হক মোল্লা, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ, সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাখাল, বিএম এর সভাপতি ডা. জহুরুল হক রাজাসহ আরও অনেকে।

মামলার বরাত দিয়ে ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে তিনজনকে গুলি করে, পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক এমপি মুন্না-হেনরী ও সচিব অপুর নামে তিন হত্যা মামলা

আপডেট সময় : ০১:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক দুই এমপি, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ৪৬৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪৫০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে নিহত জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রঞ্জু শেখের স্ত্রী পৌরসভার মাছুমপুর মহল্লার মৌসুমি খাতুন, গয়লা মহল্লার নিহত যুবদলকর্মী আব্দুল লতিফের বোন মোছা. সালেহা বেগম ও একই মহল্লার নিহত সুমন শেখের বাবা গঞ্জের আলী শেখ বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় পৃথকভাবে মামলাগুলো করেন।

প্রতিটি মামলায় সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সবগুলো মামলায় আসামি করা হয়েছে- সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, সদরের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনসহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। তিনটি মামলায় অজ্ঞাতসহ মোট ৯১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নাম আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দানিউল হক মোল্লা, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহম্মেদ, সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাখাল, বিএম এর সভাপতি ডা. জহুরুল হক রাজাসহ আরও অনেকে।

মামলার বরাত দিয়ে ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে তিনজনকে গুলি করে, পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।