ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আইএমএফের কাছে আরো ঋণ চায় বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে তোলার জন্য আরো তিন বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।

গত বছর আইএমএফের কাছ থেকে চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ পায় বাংলাদেশ। এরইমধ্যে অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলার পেতে সংস্থাটির সঙ্গে কথা চলছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নব নিযুক্ত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

তিনি ব্লুমবার্গকে বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। এটি কাটিয়ে উঠতে ঋণের প্রয়োজন। বকেয়া ঋণ মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক থেকেও ডলার কেনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত দেড় বিলিয়ন ডলার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছে আরো এক বিলিয়ন ডলার করে চাওয়া হয়েছে।

সরকার পতনের পর তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ও দুই ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করেন। তারপর আইএমএফের সঙ্গে তিন দশক কাজ করা প্রথিতযশা এই অর্থনীতিবিদকে সম্প্রতি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয় নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

গত ১৩ আগস্ট আহসান এইচ মনসুর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তিন দিনে আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে ২০ কোটি ডলারের বেশি কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় ব্যাংকগুলো থেকে প্রতি মাসে ১০০ কোটি ডলার কেনাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য। এছাড়াও দেশের ব্যাংকিং খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করাই তার মূল লক্ষ্য বলে বিবিসিকে জানান বর্তমান গভর্নর।

তিনি বলেন, আর্থিক ব্যবস্থায় পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। শেয়ার বাজার ও সার্বিক অর্থনীতিতে চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ খেলাপি হওয়ার পর দেশের ব্যাংকগুলোয় আমানত ও উৎপাদনশীল নয় এমন সম্পদের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, তারা টাকা নিয়ে সিঙ্গাপুর, দুবাই, লন্ডন ও অন্যান্য জায়গায় রেখেছেন। প্রথম প্রচেষ্টা হবে অপরাধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো এবং টাকা ফেরত আনা।

চলতি মাসের শুরুতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বাধ্য করা প্রাণঘাতী গণ-আন্দোলনের পর দেশটি কয়েক সপ্তাহের বিপর্যয় থেকে কেবল উঠে আসছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সহিংসতার কারণে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকের চালান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান সংকটের আগেই দেশের রিজার্ভ চাপে ছিল। গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত তা ছিল সাড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে প্রায় তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইএমএফের কাছে আরো ঋণ চায় বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০২:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে তোলার জন্য আরো তিন বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।

গত বছর আইএমএফের কাছ থেকে চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ পায় বাংলাদেশ। এরইমধ্যে অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলার পেতে সংস্থাটির সঙ্গে কথা চলছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নব নিযুক্ত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

তিনি ব্লুমবার্গকে বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। এটি কাটিয়ে উঠতে ঋণের প্রয়োজন। বকেয়া ঋণ মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক থেকেও ডলার কেনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত দেড় বিলিয়ন ডলার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছে আরো এক বিলিয়ন ডলার করে চাওয়া হয়েছে।

সরকার পতনের পর তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ও দুই ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করেন। তারপর আইএমএফের সঙ্গে তিন দশক কাজ করা প্রথিতযশা এই অর্থনীতিবিদকে সম্প্রতি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয় নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

গত ১৩ আগস্ট আহসান এইচ মনসুর গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তিন দিনে আন্তঃব্যাংক বাজার থেকে ২০ কোটি ডলারের বেশি কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় ব্যাংকগুলো থেকে প্রতি মাসে ১০০ কোটি ডলার কেনাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য। এছাড়াও দেশের ব্যাংকিং খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করাই তার মূল লক্ষ্য বলে বিবিসিকে জানান বর্তমান গভর্নর।

তিনি বলেন, আর্থিক ব্যবস্থায় পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। শেয়ার বাজার ও সার্বিক অর্থনীতিতে চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ খেলাপি হওয়ার পর দেশের ব্যাংকগুলোয় আমানত ও উৎপাদনশীল নয় এমন সম্পদের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, তারা টাকা নিয়ে সিঙ্গাপুর, দুবাই, লন্ডন ও অন্যান্য জায়গায় রেখেছেন। প্রথম প্রচেষ্টা হবে অপরাধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো এবং টাকা ফেরত আনা।

চলতি মাসের শুরুতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বাধ্য করা প্রাণঘাতী গণ-আন্দোলনের পর দেশটি কয়েক সপ্তাহের বিপর্যয় থেকে কেবল উঠে আসছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সহিংসতার কারণে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকের চালান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান সংকটের আগেই দেশের রিজার্ভ চাপে ছিল। গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত তা ছিল সাড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার। এ দিয়ে প্রায় তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব।