০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যু বেড়ে ১৮, দ্রুত বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির আভাস

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:১৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • ২০ দেখেছেন

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে শিগগিরই। আজ ও অগামীকাল বৃষ্টি কম হবে, এর ফলে নেমে যেতে পারে বন্যাদুর্গত এলাকার পানি। এরই মধ্যে অনেক এলাকার পানি নামতে শুরু করেছে। ১১ জেলায় বন্যায় এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মারা যাওয়াদের মধ্যে কুমিল্লায় ৪, কক্সবাজারে ৩, চট্টগ্রামে ৫, নোয়াখালীতে ৩ এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরে মারা গেছেন একজন করে।

এছাড়া ৩ হাজার ৫২৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন মানুষ। দুর্গত ১১ জেলায় এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

কে এম আলী রেজা জানান, ২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে প্লাবিত হয়েছে ৭৭ উপজেলা। ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮৭ ইউনিয়ন/পৌরসভা। ১১ জেলায় মোট পানিবন্দি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮ জন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন।

ফেনীতে বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য একটি ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে বলেও জানান কে এম আলী রেজা। এছাড়া, ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য ৭৭০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে।

বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ভয়াবহ হয়ে উঠছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। অনেকেই ঘর থেকে কিছু বের করতে না পেরে খালি হাতে ছুটে এসেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

এদিকে, আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম কামরুল হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে কয়েক জেলায় নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

কামরুল হাসান বলেন, ‘আজ এবং আগামীকাল বৃষ্টি কম হবে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে ২৬ তারিখে বৃষ্টি বাড়বে। ২৭ তারিখ থেকে আবার কমবে। তখন আরও উন্নতি হবে।’

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বন্যাকবলিত এলাকায় কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে বরিশালে বেশি ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে ৫০০-৭০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়া এবং উজানের ভারী বৃষ্টি। আর সাগরে জোয়ার বেশি ছিল লঘুচাপ ও পূর্ণিমার কারণে,তাই পানি সরে যেতে পারেনি।’

ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আরও জানান, আগামী ১০ দিনে পরিস্থিতির অবনতি হবে না। ভারী বৃষ্টি হবে, তবে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি হবে না।

মৃত্যু বেড়ে ১৮, দ্রুত বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির আভাস

আপডেট : ০১:১৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে শিগগিরই। আজ ও অগামীকাল বৃষ্টি কম হবে, এর ফলে নেমে যেতে পারে বন্যাদুর্গত এলাকার পানি। এরই মধ্যে অনেক এলাকার পানি নামতে শুরু করেছে। ১১ জেলায় বন্যায় এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মারা যাওয়াদের মধ্যে কুমিল্লায় ৪, কক্সবাজারে ৩, চট্টগ্রামে ৫, নোয়াখালীতে ৩ এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরে মারা গেছেন একজন করে।

এছাড়া ৩ হাজার ৫২৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন মানুষ। দুর্গত ১১ জেলায় এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

কে এম আলী রেজা জানান, ২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে প্লাবিত হয়েছে ৭৭ উপজেলা। ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮৭ ইউনিয়ন/পৌরসভা। ১১ জেলায় মোট পানিবন্দি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮ জন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন।

ফেনীতে বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য একটি ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে বলেও জানান কে এম আলী রেজা। এছাড়া, ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য ৭৭০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে।

বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ভয়াবহ হয়ে উঠছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। অনেকেই ঘর থেকে কিছু বের করতে না পেরে খালি হাতে ছুটে এসেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

এদিকে, আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম কামরুল হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে কয়েক জেলায় নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

কামরুল হাসান বলেন, ‘আজ এবং আগামীকাল বৃষ্টি কম হবে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে ২৬ তারিখে বৃষ্টি বাড়বে। ২৭ তারিখ থেকে আবার কমবে। তখন আরও উন্নতি হবে।’

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বন্যাকবলিত এলাকায় কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে বরিশালে বেশি ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে ৫০০-৭০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়া এবং উজানের ভারী বৃষ্টি। আর সাগরে জোয়ার বেশি ছিল লঘুচাপ ও পূর্ণিমার কারণে,তাই পানি সরে যেতে পারেনি।’

ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আরও জানান, আগামী ১০ দিনে পরিস্থিতির অবনতি হবে না। ভারী বৃষ্টি হবে, তবে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বৃষ্টি হবে না।