ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এক ইনিংসেই পাকিস্তানের বিপক্ষে যত রেকর্ড বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তা ছিল ব্যাটসম্যানদের অফ ফর্ম। সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখা গেলেও পাকিস্তানে এসেই যেন বদলে গেল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

শান মাসুদদের ৪৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছে ৫৬৫ রান। যেখানে সাদমান-মুশফিকরা গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। চতুর্থ দিন শেষে পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে ২৩ রান করেছে। বাংলাদেশ থেকে শান মাসুদরা এখনো ৯৪ রান পিছিয়ে।

টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে তাদের মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান ছিল ৩৬১ রান। ২০০৩ সালে পেশোয়ারে প্রথম ইনিংসে এই রান তুলেছিল খালেদ মাহমুদ সুজনের দল।

২১ বছর আগের সেই রেকর্ড ভেঙে আজ ৫৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ। যার নেপথ্যে বড় ভূমিকা মুশফিকুর রহিমের। এই উইকেটকিপারের ১৯১ রান ও সাদমান ইসলামের ৯৩ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে রেকর্ড সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের মাটিতে দলীয় সর্বোচ্চ রানের পর প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের লিডও নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালের মুলতান টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৬ রানের লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। যা এতোদিন ছিল সর্বোচ্চ লিড। তবে আজ রাওয়ালপিন্ডিতে ৫৬৫ রান করার মাধ্যমে প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ২১ বছর পুরনো আরেকটি রেকর্ড ভেঙেছে মুশফিকরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে আর একবারই মাত্র লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেটি ২০০৩ এর পেশোয়াড় টেস্টে (৬৬)।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশ শুধু পাকিস্তানের মাটিতেই সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়েনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশ বা দেশের বাইরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৫৫৫ রান। যা ২০১৫ সালে খুলনায় করেছিল তামিম ইকবাল- ইমরুল কায়েসরা।

১১ বছর আগে করা সেই ৫৫৫ রানই ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সেই রেকর্ড ভেঙে ৫৬৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

দলীয় দুটি রেকর্ড ভাঙার দিনে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত রেকর্ডও গড়েছেন মুশফিকুর রহিম।

চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে নিশ্চিত ডাবল সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুশফিক। তবে ১৯১ রানে মোহাম্মদ আলীর বলে রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এতে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি ৯ রানের জন্য হাতছাড়া করেন এই উইকেটকিপার।

ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও বাংলাদেশ একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক। দেশের বাইরে টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক তিনি।

এর আগে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দেশের বাইরে সর্বোচ্চ ৪টি সেঞ্চুরি ছিল ওপেনার তামিম ইকবাল ও মুশফিকের। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে তামিমের সেই রেকর্ড ভেঙে দেশের বাইরে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরির মালিক হলেন মুশফিক।

শুধু সেঞ্চুরি নয়, এই এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের মাঠে রানেও তামিমকে টপকে গেছেন মুশফিক। এতদিন প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি ২৩২৯ রান ছিল তামিমের। তাঁর চেয়ে ১৩৯ রানে পিছিয়ে ছিলেন মুশফিক। আজকের ইনিংসের পর টেস্টে প্রতিপক্ষের মাঠে এখন ২৩৮১ রান মুশফিকের। তিনে থাকা হাবিবুল বাশারের রান ১৬৩৭।

নিউজটি শেয়ার করুন

এক ইনিংসেই পাকিস্তানের বিপক্ষে যত রেকর্ড বাংলাদেশের

আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তা ছিল ব্যাটসম্যানদের অফ ফর্ম। সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখা গেলেও পাকিস্তানে এসেই যেন বদলে গেল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

শান মাসুদদের ৪৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছে ৫৬৫ রান। যেখানে সাদমান-মুশফিকরা গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। চতুর্থ দিন শেষে পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে ২৩ রান করেছে। বাংলাদেশ থেকে শান মাসুদরা এখনো ৯৪ রান পিছিয়ে।

টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে তাদের মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান ছিল ৩৬১ রান। ২০০৩ সালে পেশোয়ারে প্রথম ইনিংসে এই রান তুলেছিল খালেদ মাহমুদ সুজনের দল।

২১ বছর আগের সেই রেকর্ড ভেঙে আজ ৫৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ। যার নেপথ্যে বড় ভূমিকা মুশফিকুর রহিমের। এই উইকেটকিপারের ১৯১ রান ও সাদমান ইসলামের ৯৩ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে রেকর্ড সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের মাটিতে দলীয় সর্বোচ্চ রানের পর প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের লিডও নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালের মুলতান টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৬ রানের লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। যা এতোদিন ছিল সর্বোচ্চ লিড। তবে আজ রাওয়ালপিন্ডিতে ৫৬৫ রান করার মাধ্যমে প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ২১ বছর পুরনো আরেকটি রেকর্ড ভেঙেছে মুশফিকরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে আর একবারই মাত্র লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেটি ২০০৩ এর পেশোয়াড় টেস্টে (৬৬)।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশ শুধু পাকিস্তানের মাটিতেই সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়েনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশ বা দেশের বাইরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৫৫৫ রান। যা ২০১৫ সালে খুলনায় করেছিল তামিম ইকবাল- ইমরুল কায়েসরা।

১১ বছর আগে করা সেই ৫৫৫ রানই ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সেই রেকর্ড ভেঙে ৫৬৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।

দলীয় দুটি রেকর্ড ভাঙার দিনে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত রেকর্ডও গড়েছেন মুশফিকুর রহিম।

চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে নিশ্চিত ডাবল সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুশফিক। তবে ১৯১ রানে মোহাম্মদ আলীর বলে রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এতে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি ৯ রানের জন্য হাতছাড়া করেন এই উইকেটকিপার।

ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও বাংলাদেশ একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক। দেশের বাইরে টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক তিনি।

এর আগে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দেশের বাইরে সর্বোচ্চ ৪টি সেঞ্চুরি ছিল ওপেনার তামিম ইকবাল ও মুশফিকের। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে তামিমের সেই রেকর্ড ভেঙে দেশের বাইরে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরির মালিক হলেন মুশফিক।

শুধু সেঞ্চুরি নয়, এই এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের মাঠে রানেও তামিমকে টপকে গেছেন মুশফিক। এতদিন প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি ২৩২৯ রান ছিল তামিমের। তাঁর চেয়ে ১৩৯ রানে পিছিয়ে ছিলেন মুশফিক। আজকের ইনিংসের পর টেস্টে প্রতিপক্ষের মাঠে এখন ২৩৮১ রান মুশফিকের। তিনে থাকা হাবিবুল বাশারের রান ১৬৩৭।