০২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১২:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, রোববার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৬ দেখেছেন

টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় আজ রোববার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। ১৬টি স্পিলওয়ে ছয় ইঞ্চি পরিমাণ খুলে দেওয়ায় প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানান, ১৬টি স্পিলওয়ে ছয় ইঞ্চি পরিমাণ খুলে দেওয়ায় প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে।

কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৭টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮.২৭ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। গেইট খুলে দেওয়ায় এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক ফুট পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের গেটর খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।

কর্মকর্তারা জানান, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রাখার জন্য এমনিতেই ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। এরসঙ্গে আরও নয় হাজার সিএফএস যুক্ত হলো।

তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক শিক্ষক ও কর্ণফুলী নদী গবেষক ড. ইদ্রিস আলী।

গতকাল তিনি বলেন, ‘কাপ্তাই বাঁধ থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশিত হবে, এতে হালদা নদীসহ কর্ণফুলীতে জোয়ারের স্তর বৃদ্ধি পাবে। কর্ণফুলী নদীর পার্শ্ববর্তী উপজেলার কৃষি জমিতে জোয়ারের পানি ঢুকতে পারে।’

কাপ্তাই বাঁধ রক্ষার্থে এমনটি করা হচ্ছে। লেকের পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসলে কর্তৃপক্ষ আবার গেট বন্ধ করে দেবে বলেও জানান তিনি।

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে

আপডেট : ১২:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, রোববার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় আজ রোববার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। ১৬টি স্পিলওয়ে ছয় ইঞ্চি পরিমাণ খুলে দেওয়ায় প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানান, ১৬টি স্পিলওয়ে ছয় ইঞ্চি পরিমাণ খুলে দেওয়ায় প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে।

কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৭টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮.২৭ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। গেইট খুলে দেওয়ায় এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক ফুট পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের গেটর খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।

কর্মকর্তারা জানান, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রাখার জন্য এমনিতেই ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। এরসঙ্গে আরও নয় হাজার সিএফএস যুক্ত হলো।

তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক শিক্ষক ও কর্ণফুলী নদী গবেষক ড. ইদ্রিস আলী।

গতকাল তিনি বলেন, ‘কাপ্তাই বাঁধ থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশিত হবে, এতে হালদা নদীসহ কর্ণফুলীতে জোয়ারের স্তর বৃদ্ধি পাবে। কর্ণফুলী নদীর পার্শ্ববর্তী উপজেলার কৃষি জমিতে জোয়ারের পানি ঢুকতে পারে।’

কাপ্তাই বাঁধ রক্ষার্থে এমনটি করা হচ্ছে। লেকের পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসলে কর্তৃপক্ষ আবার গেট বন্ধ করে দেবে বলেও জানান তিনি।