বিধ্বংসী বন্যায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ১১টি জেলা। এদিকে, বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে।
এখনো ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার দুর্গম অনেক গ্রামে পৌঁছাতে পারেনি উদ্ধার ও ত্রাণকর্মীরা। পানিবন্দি মানুষ খাবার ও পানীয় জলের সংকটে আছে। অনেক এলাকায় পানি কমে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তার সাথে পানি কমে যাওয়ায় নৌযান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। পানিবন্দি প্রায় সাড়ে ৯ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ, মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের বাইরে।
রাস্তাঘাট তলিয়ে রয়েছে পানির নিচে। গাছ পড়ে আছে সড়কে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের সহায়তায় পরিস্কার করে ত্রাণের গাড়ি নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করছে স্বেচ্ছাসেবকরা।
তবে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা ছাড়া ফেনীতে সামগ্রিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফুলগাজী-পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া থেকে পানি কিছুটা নেমেছে।
এদিকে নতুন করে আরও কয়েকটি ইউনিয়ন নিমজ্জিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফেনী জেলা প্রশাসন। ফেনী সদর, ফুলগাজী ও সোনাগাজীর মানুষের ত্রাণের বেশি প্রয়োাজন। ফেনী সদর ও সোনাগাজী-দাগনভূঞাসহ ৬ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বহু মানুষ বাসাবাড়ির ছাদ, উঁচু রাস্তায় ও আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে।