ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীতে আবারও তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা জোয়ারে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দিন জেলায় ৩০ মিলিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বন্যা কবলিত এলাকার এক নারী বলেন, পরিবারের লোকজন সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। দু-একটি ঘর ছাড়া বাকি সব ঘর তলিয়ে গেছে। কেউ নেই, যাদের ঘর একটু উঁচু তারা দু-একজন আছে। রেললাইন, রাস্তা সবকিছু ডুবে গেছে, হাঁটু সমান পানি। এমন অবস্থায় পরিবারের লোকজন নিয়ে বাইরে খাওয়া দাওয়া করছি। দু-একদিন পর এসে বাড়ি-ঘর দেখে যাচ্ছি।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, এখানকার সার্বিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সবকিছু তলিয়ে গেছে। অসুস্থ মানুষ বের হতে পারছে না। ট্রেন যোগাযোগ এক সপ্তাহ থেকে বন্ধ, রেললাইন পানির নিচে ডুবে আছে। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, দোকানপাট সবকিছু ডুবে গেছে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রাতে বৃষ্টি হওয়াতে পানি আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। চাটখিল এবং সেনবাগ এই দুই উপজেলায় গতকাল পানি বেড়েছে। বৃষ্টি যদি না হলে এখান থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পাব। এখন যে অবস্থা আছে সেই অবস্থা থেকে আমরা সকলে মিলে কাজ করছি। যেহেতু এটি একটি জাতীয় দুর্যোগ সকলে মিলে এটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। সকলে আন্তরিকভাবেই কাজ করছি।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, চাঁদপুর ও কুমিল্লা থেকে আনা বেশকিছু নৌযানে করে দুর্গম এলাকায় পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

আপডেট সময় : ০১:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালীতে আবারও তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা জোয়ারে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দিন জেলায় ৩০ মিলিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বন্যা কবলিত এলাকার এক নারী বলেন, পরিবারের লোকজন সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। দু-একটি ঘর ছাড়া বাকি সব ঘর তলিয়ে গেছে। কেউ নেই, যাদের ঘর একটু উঁচু তারা দু-একজন আছে। রেললাইন, রাস্তা সবকিছু ডুবে গেছে, হাঁটু সমান পানি। এমন অবস্থায় পরিবারের লোকজন নিয়ে বাইরে খাওয়া দাওয়া করছি। দু-একদিন পর এসে বাড়ি-ঘর দেখে যাচ্ছি।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, এখানকার সার্বিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সবকিছু তলিয়ে গেছে। অসুস্থ মানুষ বের হতে পারছে না। ট্রেন যোগাযোগ এক সপ্তাহ থেকে বন্ধ, রেললাইন পানির নিচে ডুবে আছে। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, দোকানপাট সবকিছু ডুবে গেছে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রাতে বৃষ্টি হওয়াতে পানি আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। চাটখিল এবং সেনবাগ এই দুই উপজেলায় গতকাল পানি বেড়েছে। বৃষ্টি যদি না হলে এখান থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পাব। এখন যে অবস্থা আছে সেই অবস্থা থেকে আমরা সকলে মিলে কাজ করছি। যেহেতু এটি একটি জাতীয় দুর্যোগ সকলে মিলে এটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। সকলে আন্তরিকভাবেই কাজ করছি।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, চাঁদপুর ও কুমিল্লা থেকে আনা বেশকিছু নৌযানে করে দুর্গম এলাকায় পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।