ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কলকাতায় বিক্ষোভ দমাতে পুলিশের জলকামান-টিয়ারগ্যাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের আশপাশের সড়কে বিক্ষোভে নামেন হাজারো মানুষ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।

গত ৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সী এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের রাজ্য সচিবালয়ের দিকে অগ্রযাত্রা ঠেকাতে দাঙ্গা পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।

পুলিশ জানায়, আজ প্রতিবাদ মিছিলের জন্য কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। গতকাল সমাবেশ থেকে সহিংসতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

কলকাতা পুলিশ আজ কার্যত নবান্নকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা দুর্গ তৈরি করে এবং বিক্ষোভকারীদের যেকোনো পথ থেকে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়া ঠেকাতে প্রায় ছয় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের ওপর নজর রাখতে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়।

আজ সকালে একদল বিক্ষোভকারী কলেজ স্কয়ারে জড়ো হয়ে নবান্নের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। ভয়ঙ্কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন তারা। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে একাধিক ছাত্র সংগঠন ও নাগরিক ফোরাম। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের পথের পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছেন।

যদিও শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ, এটি বিজেপি-সমর্থিত বিক্ষোভ। আয়োজকরা অবশ্য বলেছেন, এটি ছাত্র সংগঠনগুলোর পরিকল্পিত মিছিল। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেক সংগঠন নিবন্ধিত নয়। বেশিরভাগ পরিচিত ছাত্র সংগঠনগুলো এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্তরা বিক্ষোভ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে।

আজ সকালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হেন্ডেলে বলেন, বিক্ষোভের পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে চারজন ছাত্র-কর্মী মধ্যরাতের পরে নিখোঁজ হয়ে গেছেন। আমরা আশঙ্কা করছি, মমতার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার বা আটক করেছে। তাদের কিছু হলে মমতার পুলিশকে জবাবদিহি করতে হবে।

তৃণমূল বলেছে, ছাত্রদের বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্যটির অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি বিজেপি-এবিভিপির গোলযোগ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র। পুলিশের ইউনিফর্ম পরে দুষ্কৃতরা গুলি চালানোর ষড়যন্ত্র করছে। আগামীকাল পরীক্ষা আছে। ছাত্ররা কি এটা করতে পারে? তারা শকুনের রাজনীতি করছে।’

তৃণমূল দুটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছে, বিরোধীরা অস্থিরতা সৃষ্টির চক্রান্ত করছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন বলছেন, আমাদের লাশ দরকার। যদিও ভিডিওগুলো এনডিটিভি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

কলকাতায় বিক্ষোভ দমাতে পুলিশের জলকামান-টিয়ারগ্যাস

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের আশপাশের সড়কে বিক্ষোভে নামেন হাজারো মানুষ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।

গত ৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সী এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের রাজ্য সচিবালয়ের দিকে অগ্রযাত্রা ঠেকাতে দাঙ্গা পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।

পুলিশ জানায়, আজ প্রতিবাদ মিছিলের জন্য কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। গতকাল সমাবেশ থেকে সহিংসতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

কলকাতা পুলিশ আজ কার্যত নবান্নকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা দুর্গ তৈরি করে এবং বিক্ষোভকারীদের যেকোনো পথ থেকে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়া ঠেকাতে প্রায় ছয় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের ওপর নজর রাখতে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়।

আজ সকালে একদল বিক্ষোভকারী কলেজ স্কয়ারে জড়ো হয়ে নবান্নের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। ভয়ঙ্কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন তারা। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে একাধিক ছাত্র সংগঠন ও নাগরিক ফোরাম। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের পথের পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছেন।

যদিও শাসক দল তৃণমূলের অভিযোগ, এটি বিজেপি-সমর্থিত বিক্ষোভ। আয়োজকরা অবশ্য বলেছেন, এটি ছাত্র সংগঠনগুলোর পরিকল্পিত মিছিল। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেক সংগঠন নিবন্ধিত নয়। বেশিরভাগ পরিচিত ছাত্র সংগঠনগুলো এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্তরা বিক্ষোভ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে।

আজ সকালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হেন্ডেলে বলেন, বিক্ষোভের পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে চারজন ছাত্র-কর্মী মধ্যরাতের পরে নিখোঁজ হয়ে গেছেন। আমরা আশঙ্কা করছি, মমতার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার বা আটক করেছে। তাদের কিছু হলে মমতার পুলিশকে জবাবদিহি করতে হবে।

তৃণমূল বলেছে, ছাত্রদের বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্যটির অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি বিজেপি-এবিভিপির গোলযোগ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র। পুলিশের ইউনিফর্ম পরে দুষ্কৃতরা গুলি চালানোর ষড়যন্ত্র করছে। আগামীকাল পরীক্ষা আছে। ছাত্ররা কি এটা করতে পারে? তারা শকুনের রাজনীতি করছে।’

তৃণমূল দুটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছে, বিরোধীরা অস্থিরতা সৃষ্টির চক্রান্ত করছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন বলছেন, আমাদের লাশ দরকার। যদিও ভিডিওগুলো এনডিটিভি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।